চিঠি।। মাহিনুর আক্তার।। পুবাকাশ
পুরোনো চিঠির পাতায় ভাসে তোমার আওয়াজের সুর,
যদিও আবছা কল্পনায় একটু একটু ভুলেছি তোমার মুখ।
ঠোঁটের তিলটা- যার প্রতি ছিল প্রচণ্ড লোভ ছুঁয়ে দেবার;
রাত্রিদিন কতো কবিতা ও গান আওড়েছি তাই বারবার।
কতোদিন হলো পাই না কোনো চিঠি- হয়তো থাকো শঙ্কায়,
পুরোনো চিঠি পড়ে তোমায় প্রজাপতি সম গাথিঁ কল্পনায়।
মিলনের পুলক হারিয়েছে কবে ঝড়ের ঝাঁপটায়;দূর-দূরান্তে
পথহারা পাখি আমি, বড়ো বেমানান লাগে আজ নিজেকে।
কপাল চওড়া হয়ে ভ্রু গুলো সাদাটে হচ্ছে,দৃষ্টিসীমা কমছে,
ভালোই তো হলো- বিরহের আগুনে উত্তাপও ফিঁকে হচ্ছে।
একগাদা ফাইলেের পিছনে লুকানো চিঠিগুলো; আমার স্তাবর সম্পদ,
বাড়ির পোষা কুকুরটা- যে আমার একমাত্র তাজা সফেদ ক্যানভাস।
এদেরকে কোথায় দান করি;বিড়বিড়িয়ে মনে মনে এটাই বলি,
রাস্তায় দয়া করে কেউ বুড়োটাকে পার করে দেয় হাত ধরি।
শুকিয়ে যাওয়া স্মৃতির নদী হাতড়াই- ছেড়ে গেলে কেন কারণ খুঁজি,
বড়ো অভিমানে ছোট শাখা নদী ফেলে মিললে গিয়ে কোন সাগরে।
রহস্য ঘেরা চির নন্দিনী- অপ্সরা আমার,বৃষ্টির ফোঁটাগুলো-
তোমাকেই মনে করায়,আমার মতো চালচুলোহীন মানুষটা ফেলে গেলে।
মনের চিঠিতে লিখি অলৌকিক কাহিনী;দেখা হবে মৃত্যুর ওপারে,
রোমিও-জুলিয়েট হবার বিশ্বাসে শুয়ে থাকি অন্ধ গলিটার মোড়ে।
মাহিনুর আক্তার : সহযোগী অধ্যাপক ,ফেনী গার্লস ক্যাডেট কলেজ।