মাঈন উদ্দিন জাহেদ
ঈদ শব্দের একটি অর্থ আরবী আওদুন ধাতু থেকে উৎসারিত। যার অর্থ বারবার ফিরে আসা। বৎসর ঘুরে আনন্দের এ দিন টি মানুষের জীবনে প্রতিবছর ফিরে আসে বলে এ দিনকে ঈদের দিন বলা হয়। প্রাচীন কাল থেকে আরবরা বছরে দুটো ঈদ পালন করতো। রাসুল সা: মদীনায় আগমনের পর অন্ধকার যুগের নানা পঙ্কিল আচারযুক্ত ঈদের প্রথা পরিবর্তে পঙ্কিলতা মুক্ত দুটো ঈদের কথা তিনি ঘোষণা দেন, যা মুসলিম সমাজে ঈদুল ফিতর বা রোজার ঈদ ও ঈদুল আযহা বা কুরবানীর ঈদ হিসেবে পালন হয়ে আসছে।
‘কুরবান’ শব্দটি ফারসী বা ঊর্দুতে ‘ কুরবানী’ রূপে পরিচিত হয়েছে, যার অর্থ ‘নৈকট্য’ ৷ পারিভাষিক অর্থে ‘কুরবানী’ ঐ মাধ্যমকে বলা হয়, যা দিয়ে আল্লাহর নৈকট্য লাভ হয়’। প্রচলিত অর্থে, ঈদুল আযহার দিন আল্লাহর সম্ভষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে ইসলামী শরীয়াই মত যে পশু যবহ করা হয়, তাকে ‘কুরবানী’ বলা হয়’ ৷
শরয়ীয়া অনুসারে অবৈধ ও পাপ পথে অর্জিত সম্পদের বিনিময়ে কেনা কোনো পশু কুরবানী আল্লাহর কাছে গ্রহণ য়োগ্য নয়। কেননা কুরবানীর মাংশ কিংবা রক্ত কোনো কিছুই আল্লাহর কাছে যাবে না। শুধু আল্লাহ পর্যবেক্ষণ করবেন বন্দার আত্মত্যাগ। যেম্নিভাবে দেখেছেন আদি পিতা হযরত ইব্রাহীম আ: এর আত্মত্যাগ।
সকালে রক্তিম সূর্য উপরে ওঠার সময়ে ‘কুরবানী’ করা হয় বলে এই দিনটিকে ‘ইয়াওমূল আযহা’ বলা হয়ে থাকে। যদিও কুরবানী সারাদিন ও পরের দু’দিন করা যায়।
কুরবানী সম্পর্কে আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা পবিত্র কুরআনে বলেছেন-
‘আর কুরবানীর পশু সমূহকে আমরা তোমাদের জন্য আল্লাহর নিদর্শন সমূহের অন্তর্ভুক্ত করেছি এর মধ্যে তোমাদের জন্য কল্যান রয়েছে’ (হজ্জ ২২,৬৬) I
আল্লাহ আরও বলেন,
‘আর আমরা তার (অর্থাৎ ইসমাঈলেৱ) পরিবর্তে যবেহ করার জন্য দিলাম একটি মহান কুরবানী’‘এবং আমরা এটিকে (অর্থাৎ কুৱবানীর এ প্রথাটিকে) পরবর্তীদের মধ্যে রেখে দিলাম’ (ছায‘ফাত ৩৭/১০৭, ১০৮) |
আল্লাহ বলেন,
‘তুমি তোমার প্ৰতিপালকের উদ্দেশ্যে সালাত আদায় কর এবং কুরবানী কর’ (সুরা কাওছার ১০৮/২) ৷
কাফির মুশরিকরা তাদের দেব দেবী ও বিভিন্ন কবর ও বেদীতে পূজা দেয় ও মূর্তির উদ্দেশ্যে কুরবানী করে থাকে৷ তার প্রতিবাদ স্বরূপ মুসলমানকে আল্লাহ্ জন্য ‘সালাত আদায়ের ও তার উদ্দেশ্যে কুরবানী করার হুকুম দেওয়া হয়েছে। ঈদুল আযহার দিন প্রথমে আল্লাহ্ জন্য ঈদের সালাত আদায় করতে হয়, অতঃপর তার নামে কুরবানী করতে হয়৷
আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ্ (সা:) বলেছেন-
‘সামর্থ্য থাকা সত্বেও যে ব্যক্তি কুরবানী করল না, সে যেন আমাদের ঈদগাহের নিকটবর্তী না হয়’ ৷
কুরবানী ইসলামের একটি ‘মহান নিদর্শন’, যা ‘সুন্নাতে ইবরাহীমী’ হিসাবে রাসূলুল্লাহ (সা:) নিজে মদীনায় প্রতি বছর আদায় করেছেন এবং সাহাবীগণও নিয়মিতভাবে কুরবানী করেছেন। এরপর অবিরত ধারায় মুসলিম উম্মাহ্ সামর্থ্যবানদের মধ্যে এটি চালু আছে ৷ এটি কুরআন ও সুন্নাহ এবং ইজমায়ে উম্মত দিয়ে সুপ্রমাণিত।
কুরবানীর মূল উদ্দেশ্য আল্লাহভীতি অর্জন করা। যাতে মানুষ এটা উপলব্ধি করে যে, আল্লাহ্ৱ বিশেষ অনুগ্রহের কারণেই শক্তিশালী পশুগুলি তাদের মত দূর্বল মানুষের কাছে কুরবান হয়ে যায়।
কুরবানীর ইতিহাস
আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বলেন-
‘প্রত্যেক উম্মতের জন্য আমরা কুরবানীর বিধান রেখেছিলাম, যাতে তারা যবহ করার সময় আল্লাহর নাম স্মরণ করে এজন্য যে, তিনি চতুষ্পদ গবাদি পশু থেকে তাদের জন্য রিযিক নির্ধারণ করেছেন। অতএব তোমাদের উপাস্য মাত্র একজন ৷ অতএব তাঁর নিকটে তোমরা আত্মসমর্পণ কর এবং আপনি বিনয়ীদের সুসংবাদ প্রদান করুন’ (হজ্জ ২ ২/৩৪)।
আদম (আঃ) এর দুই পুত্র কাবীল ও হাবীল এর দেয়া কুরবানী থেকেই কুরবানীর ইতিহাসের গোড়াপত্তন হয়েছে ৷ তারপর থেকে বিগত সকল উম্মতের উপরে এটা প্রচলিত ছিল। তবে সেই সব কুরবানীর নিয়ম কানুন আমাদেরকে জানানো হয়নি। মুসলিম উম্মাহর উপরে যে কুরবানীর নিয়ম নির্ধারিত হয়েছে, তা মূলতঃ ইবরাহীম (আঃ) কর্তৃক পুত্র ইসমাঈল (আঃ) কে আল্লাহর রাহে কুরবানী দেওয়ার অনুসরণে ‘সুন্নাতে ইবরাহীমী’ হিসাবে চালু হয়েছে ৷ যা মুকীম ও মুসাফির সৰ্বাবস্থায় পালনীয় ৷ রাসূলুল্লাহ (ছাং) মাদানী জীবনে দশ বছর নিয়মিত কুরবানী করেছেন।
হযরত ইবরাহীম আ:এর কুরবানীর সংক্ষিপ্ত ইতিহাস বর্ণনা করে আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বলেন:
‘যখন সে (ইসমাঈল) তার পিতার সাথে চলাফেরা করার বয়সে উপনীত হ’ল, তখন তিনি (ইবরাহীম) তাকে বললেন,হে বৎস! আমি স্বপ্নে দেখেছি যে, আমি তোমাকে যবেহ করছি। অতএব বল, তোমার মতামত কি? ছেলে বলল, হে আব্বা! আপনাকে যা নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তা গ্রতিপালন করুন ৷ ইনশাআল্লাহ আপনি আমাকে ধৈর্যশীলদেব মধ্যে পাবেন’ (ছাফফাত ৩৭/১০২)।
অতঃপর যখন পিতা ও পুত্র আত্মসমর্পণ করল এবং পিতা পুত্রকে উপুড় করে ফেলল’ (১০৩),‘তখন আমরা তাকে ডাক দিলাম, হে ইবরাহীম (১০8)! ‘নিশ্চয়ই তুমি তোমার স্বপ্ন সত্যে পরিণত করেছ৷ আমরা এমনিভাবে সৎকর্মশীল বান্দাদের পুরস্কৃত করে থাকি’ (১০৫)। নিশ্চয়ই এটি একটি সুস্পষ্ট পরীক্ষা’ (১০৬)।‘আর আমরা তার (অর্থাৎ ইসমাঈলের) পরিবর্তে যবেহ করার জন্য দিলাম একটি মহান কুরবানী (১০৭)। ‘এবং আমরা এটিকে (অর্থাৎ কুরবানীর এ প্রথাটিকে) পরবর্তীদেরকে মধ্যে রেখে দিলাম’ (১০৮)। ‘ইবরাহীমের উপরে শান্তি বর্ষিত হোক’ (১০৯)।
হযরত ইবরাহীম (আঃ) এর ৮৬ বৎসর বয়সে ইসমাঈল বিবি হাজেরার গর্ভে এবং ৯৯ বছর বয়সে ইসহাক বিবি সারাহর গর্ভে জন্মগ্রহণ করেন ৷ ইবরাহীম (আঃ) সর্বমেটি ২০০ বছর বেঁচে ছিলেন ৷
কুরবানীর ঘটনা
যবহের সময় ইসমাঈলের বয়স ছিল ১৩ বছর। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, ঐ সময় তিনি কেবল সাবালকত্বে উপনীত হয়েছিলেন। এমন সময় পিতা ইবরাহীম স্বপ্লে দেখলেন যে, তিনি বৃদ্ধ বয়সের একমাত্র সন্তান ইসমাঈলকে কুরবানী করছেন। নবীদের স্বপ্ন ‘অহি’ হয়ে থাকে। তাদের চক্ষু মুদিত থাকলেও অন্তরচক্ষু খোলা থাকে৷ ইবরাহীম (আ:) একই স্বপ্ন পরপর তিনরাত্রি দেখেন। প্রথম রাতে তিনি স্বপ্ন দেখে ঘুম থেকে উঠে ভাবতে থাকেন, কি করবেন I এজন্য প্রথম রাতকে (৮ই যিলহাজ্জ) ‘ইয়াউমুত তারবিয়াহ’ বা ‘স্বপ্ন দেখানোর দিন’ বলা হয়। দ্বিতীয় রাতে পুনরায় একই স্বপ্ন দেখার পর তিনি নিশ্চিতভাবে বুঝতে পারেন যে, এটা আল্লাহর পক্ষ হ’তে নির্দেশ হয়েছে। এজন্য এ দিনটি (৯ই যিলহাজ্জ) ‘ইয়াউমুল আরাফা’ বা ‘নিশ্চিত হওয়ার দিন’ বলা হয়। তৃতীয় দিনে পুনরায় একই স্বপ্ন দেখায় তিনি ছেলেকে কুরবানী করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেন ৷ এজন্য এ দিনটিকে (১০ই যিলহাজ্জ্ব) ‘ইয়াউমুননাহর’ বা ‘কুরবানীর দিন’ বলা হয়।”
এই সময় ইবরাহীম (আঃ) শয়তানকে তিন স্থানে তিনবার সাতটি করে পাথরের কংকর ছুঁড়ে মারেন ৷ উক্ত সুন্নাত অনুসরণে উম্মতে মুহাম্মাদীও হজ্জের সময় তিন জামরায় তিনবার শয়তানের বিরুদ্ধে কংকর নিক্ষেপ করে থাকে এবং প্রতিবারে আল্লাহর বড়ত্ব ঘোষণা করে ‘আল্লাহু আকবার’ বলে থাকে ৷ “’
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে সহীহ সনদে মুসনাদে আহমাদে বর্ণিত হয়েছে যে, ইবরাহীম (আঃ) ছেলেকে কুরবানীর প্রস্তুতি নিলেন এবং তাকে মাটিতে ঊপুড় করে ফেললেন। এমন সময় পিছন থেকে আওয়াজ এলো, ইবরাহীম ! তুমি স্বপ্ন সার্থক করেছ’ (ছাফফাত ১০৫)। ইবরাহীম পিছন ফিরে দেখেন যে, একটি সুন্দর শিংওয়ালা ও চােখওয়ালা সাদা দুম্বা দাঁড়িয়ে আছে। অতঃপর তিনি সেটি মিনা প্রান্তরে (‘ছাবীর’ টীলার পাদদেশে) কুরবানী করেন। ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন, এজন্য আমরা কুরবানীর সময় অনুরূপ ছাগল দুম্বা খুঁজে থাকি।‘তিনি বলেন, ঐ দুম্বাটি ছিল হাবীলের কুরবানী, যা জান্নাতে ছিল, যাকে আল্লাহ হযরত ইসমাঈলের ফিদইয়া হিসাবে পাঠিয়েছিলেন ৷ হযরত ইবরাহীম আ: ঐ দুম্বাটি ছেলের ফিদ্ইয়া হিসাবে কুরবানী করলেন ও ছেলেকে বুকে জড়িয়ে ধরে বললেন‘হে পুত্র! আজই তোমাকে আমার জন্য দান করা হল।’
নিঃসন্দেহে এখানে মূল উদ্দেশ্য যবেহ ছিলনা, বরং উদ্দেশ্য ছিল পিতা পুত্রের আনুগত্য ও তাক্ওয়ার পরীক্ষা নেওয়া। সে পরীক্ষায় উভয়ে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। পিতার পূর্ণ প্রস্তুতি এবং পুত্রের স্বতঃস্ফূর্ত সম্মতি ও আনুগত্যের মাধ্যমে ৷
ইমাম কুরতুবী উপরোক্ত ১০৭ নং আয়াতের ব্যাখ্যায় উল্লেখ করে বলেন :
এ আয়াতটি দলীল হল এ বিষয়ে যে, উট ও গরুর চেয়ে ছাগল কুরবানী করা উত্তম ৷ রাসূলুল্লাহ (সা:) নিজেও শিংওয়ালা দুটো করে “খাসি কুরবানী দিতেন। অনেক আলেম বলেছেন, যদি এর চাইতে উত্তম কিছু থাকত, তবে আল্লাহ তাই দিয়ে ইসমাঈলের ফিদ্ইয়া দিতেন’ ৷
তবে উট গরু, ভেড়া বা ছাগল দিয়ে কুরবানীর ব্যাপারে স্পষ্ট হাদীস রয়েছে এবং আল্লাহর রাসূল (সা:) হাজ্জের সময় গরু ও উট কুরবানী করেছেন ৷
রাসুল সাঃ মুকীম অবস্থায় সব সময় শিং ওয়ালা দুম্বা বা খাসী কুরবানী করতেন। আর সফরে বা হজ্জে গরু ও উট কুরবানীর কথা হাদীসে উল্লেখ আছে। আমাদের সমাজে একক বা ভাগে গরু কুরবানীর প্রচলনই বেশী। অথচ রাসুল সা: যখন খাসী বা দুম্বা কুরবানী দিয়েছেন তখনও দো’য়া পড়েছেন তাঁর ও তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে কুরবানী বলে। কয়ভাগ করছেন, তা তাঁর কাছে মূখ্য ছিলো না। পুরো পরিবারের পক্ষ থেকে তার সামর্থ অনুযায়ী কুরবানীটাই মূখ্য। কিন্তু আমাদের সমাজে এখন কয়ভাগ বা গরু না মহিষ না খাসী না ভেড়া কি কুরবানী দিচ্ছে সেটাই আলোচনা হচ্ছে বা মূখ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। রীতিমতো কুরবানীর পশুর সাইজ নিয়ে বিত্তবানদের মাঝে অসুস্থ প্রতিযোগিতা চলছে। আর গরু বেপারীদের মাঝে চলছে মোটাতাজা করণের নামে নির্বোধ প্রাণীর উপর মাংশ বাড়ানোর নির্মম প্রতিযোগিতা। যা কোনো ভাবেই শরিয়ত সম্মত না। আজ গরু কুরবানী না দিলেই যেন মহা গুনাহ হয়ে যাবে, এমন ভাব হয়ে দাঁড়িয়েছে। অথচ হজ্জ ছাড়া রাসুল সা: এর দশ বছরের মাদানী জীবনে তিনি দুটা খাসী বা দুম্বাই কুরবানী করেছেন সব সময়। ভাগের হিসাব মূখ্য ছিলোই না।
ঈদুল আযহার কুরবানীর আনন্দ মূলতঃ শিরক মুক্তির আনন্দ, তাওহীদের ঝাণ্ডাকে আপােষহীনভাবে উন্নীত করার আনন্দ ৷ অথচ আমরা হযরত ইবরাহীম (আঃ) এর সেই নির্ভেজাল তাওহীদী চেতনা হারিয়ে ফেলেছি। অন্যদিকে একদল লোক কুরবানীকে স্রেফ গোশতখাওয়ার উৎসবে পরিণত করেছি। প্রচলিত এই চেতনা ইবরাহীমী চেতনার সম্পূর্ণ পরিপন্থী। তাই অনতিবিলস্বে শিরকী চেতনা হ’তে তাওবা করে তাওহীদী চেতনা প্রতিষ্ঠিত করা অপরিহার্য। নইলে কুরবানীর মূল উদ্দেশ্য ‘তাকওয়া’ বা একনিষ্ঠ আল্লাহভীতি কখনোই অর্জিত হবে না। আর প্রকৃত আল্লাহভীতিই জাতীয় উন্নতি ও অগ্রগতির চাবিকাঠি। ইবরাহীমী ঈমান যদি আবার জাগ্রত হয়, তবে আধুনিক কুপমুণ্ডকতার গাঢ় তমিশ্রা ভেদ করে পুনরায় মানবতার বিজয় নিশান উড্ডীন হবে। সমাজে শান্তি ও সমৃদ্ধি ফিরে আসবে। তাই এক উর্দু কবি লিখেছেনঃ
আগার হো যায়ে ফের হামমে ইবরাহীম কা ঈমা পয়দা,
আগ মে হো সেকতা হায় ফের আন্দা যে গুলিস্তাঁ পয়দা।
অর্থৎ
যদি আমাদের মধ্যে পুনরায় ইবরাহীমের ঈমান সৃষ্টি হয়,
তাহলে অগুনের মধ্যে আবার ফুলবাগান সৃষ্টি হতে পারে’।
আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর কুরবানী’ কবিতা তাই বলেছেন-
ওরে হত্যা নয় আজ সত্যাগ্রহ শক্তির উদ্বোধন
ঐ খুনের খুঁটিতে কল্যাণকেতু লক্ষ্য ঐ তােরণ আজি আল্লাহ্ নামে জান কোরবানে ঈদের পূত বোধন
ওরে হত্যা নয় আজ সত্যাগ্রহ শক্তির উদ্বোধন।