আল মাহমুদ

নিশিডাক

তার আহবান ছিলাে নিশিডাকের শিসতােলা তীব্র বাশীর মত।
প্রতিটি মানুষের রক্তবাহী শিরায় কাপন দিয়ে তা বাতি
নন্দীগুলাে হিসহিস শব্দে অতিকায় সাপের মত ফণা তুলে দাড়াতে,
অরণ্যের পাখিরা ডাকাডাকি করে পথ ভুলে উড়ে যেত সমুদ্রের দিকে।
সে যখন বলল, ভাইসব।
অমনি অরণ্যের এলােমেলাে গাছেরাও সারি বেঁধে দাঁড়িয়ে গেল
সে যখন ডাকলো, ভাইয়েরা আমার।’
ভেঙে যাওয়া পাখির ঝাক ভীড় করে নেমে এল পৃথিবীর ডাঙায়
কবিরা কলম ও বন্দুকের পার্থক্য ভুলে হাঁটতে লাগলাে
খােলা ময়দানে।
এই আমি,
নগণ্য এক মানুষ
দেখি, আমার হাতের তালু ফুঁড়ে বেরিয়ে এসেছে
এক আগুনের জিহবা।
বলাে, তােমার জন্যই কি আমরা হাতে নিইনি আগুন?
নদীগুলােকে ফণা ধরতে শেখায়নি কি তােমার জন্য-
শুধু তােমারই জন্য গাছে গাছে ফুলের বদলে ফুটিয়েছিলাম ফুলকি,
আম গাছে গুচ্ছ গুচ্ছ ফলেছিল।
গ্রেনেড ফল। আর সবুজের ভেতর থেকে ফুঙ্কার দিয়ে
বেরিয়ে এল গন্ধকের ধােয়া। আহ
আমি এখন আর চোখ মেলতে পারছি না।

বঙ্গবন্ধু স্কেচ: শিল্পী মোমিন উদ্দীন খালেদ
আল মাহমুদ স্কেচ: শিল্পী মোহাম্মদ তোহা

মন্তব্য করুন

এখানে মন্তব্য লিখুন
এখানে আপনার নাম লিখুন