অবিরাম শূন্য স্থান।। রিজোয়ান মাহমুদ পুবাকাশ
বাবা মারা যাওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে ফুলহাতা
জামার ভেতরে রঙিন মার্বেল পেয়েছি ভীষণ নম্র –
যেন মার্বেল না, বিশদ মর্মর মানুষের চোখ। বেশ কিছু সময় হাতের
আঙুলে ধরেছিলাম, সেটি।
আশ্চর্য, বাবা কি পরিণত বয়সেও মার্বেল খেলতো!
খেলায় মগ্নতা বেঁধে কতবার কামাই করেছি স্কুল,
সেটি জানে সুজন দফতরির ঘণ্টা। যেপথে যেতাম
জানে, সে পথের মায়াবী বুকের খুন। বাবার অমত ছিল
আমার গুটিকতক মার্বেলের দোষ।আমি তো শুধু-ই উত্তরাধিকার।
শুনেছি দাদিমা বলতেন ; ছেলেবেলা থেকে বাবা বড় হতে চাইতেন না-
খালি কবর মাটির সোঁদা গন্ধ টানে ; এই অভিযোগে দাদিমার কান
ভারী করতেন। কবরের মাটি আর ভিটেমাটি দিয়ে পুতুল বানাতো।
বড় হলে কেশর উড়িয়ে মাটির ঘোড়াটি টগবগিয়ে চলে যেতো
পাতালের দিকে।
কবর ভীষণ পুরাতন নাম। মাটি-খারাপ আজাব, কান্না।
কবরের নাম হতে পারে প্রাণসর মুশায়রা এবং বাবা মানে রক্তচক্ষু
দৃঢ়চেতা পুরুষ- মায়ের স্বামী পুরুষতন্ত্রের প্রতিনিধি
আমাকে পুরুষ বানিয়ে রক্তের নুন তুলে দিয়ে এক সকালে প্রস্থান
করলেন তিনি।
রিজোয়ান মাহমুদ : কবি ও সম্পাদক।