দু’টি কবিতা ।। জালালুদ্দিন রুমী।। আলমগীর মোহাম্মদ অনূদিত।। পুবাকাশ 

১.আপ্যায়ন ঘর

এই জীবন অতিথির।
প্রতিটি সকাল যেন এক নবসূচনা।
একটু আনন্দ, হতাশা, নীচতা
সাময়িক সতর্কতা আসে
অপ্রত্যাশিত কোন এক অতিথির মতো।

তাদের প্রত্যেককে স্বাগত জানাও এবং আপ্যায়ন করো!
যদি তারা একরাশ দুঃখের কারণও হয়,
যারা সহিংস আক্রমণে আসবাবপত্র সরিয়ে
তোমার ঘর খালি করে নেয়,
তারপরেও, প্রতিজন মেহমানকে শ্রদ্ধাভরে আপ্যায়ন করো।
হয়তো সে তোমাকে পথ করে দিচ্ছে
নতুন কোন আনন্দের জন্য।

বাজে চিন্তা, লজ্জা, ঘৃণা,
দরোজায় দাঁড়িয়ে হাসিমুখে বরণ করো এদের,
এবং ভেতরে আসতে বলো।

যেই আসুক কৃতজ্ঞ হও,
কারণ প্রত্যেককে পাঠানো হয়েছে
পথপ্রদর্শক হিসেবে।

২. বিসমিল্লাহ

তোমার স্বভাব আস্তে চলার।
অনেক বছর ধরে তুমি একটা বিরক্তি নিয়ে আছ।
এত বড় চাপ নিয়ে, তুমি নম্র হবে কিভাবে?
এই ধরণের পিছুটান নিয়ে, তুমি কি কোন অবস্থানে পৌছার প্রত্যাশা করো?

বাতাসের মতো বিস্তৃত হও গোপন কিছু জানতে।
এখন তুমি সমপরিমাণে মাটি
এবং পানি ও থিকথিকে কাদা।

আব্রাহাম জেনেছিলেন সূর্য, চন্দ্র ও তারা কিভাবে তৈরি করা হয়েছিলেন।
তিনি বলেছিলেন, আমি কখনো খোদার সাথে কারো শরীক করবো না।

তুমি খুবই দুর্বল। রহমতের কাছে নিজেকে সঁপে দাও।
সমুদ্র প্রতিটি ঢেউয়ের খবর রাখে
তীরে পৌছা পর্যন্ত।
তোমার সাহায্য দরকার যতটুকু না তুমি জানো।
তুমি চেষ্টা করছো জীবনকে জ্বলন্ত চুল্লিতে ঠেলে দিতে।
বলো বিসমিল্লাহ, আল্লাহর নামে,
যেভাবে মৌলভী বলেন পশু জবাইয়ের সময়।

বিসমিল্লাহ তোমার পুরনো আত্মা
তোমার নিজেকে খুঁজে পেতে।

অনুবাদক: আলমগীর মোহাম্মদ : প্রভাষক, বাংলাদেশ আর্মি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সাইন্স এন্ড টেকনোলজি, কুমিল্লা। 

মন্তব্য করুন

এখানে মন্তব্য লিখুন
এখানে আপনার নাম লিখুন