তালেব মাস্টার ও আশরাফ সিদ্দিকী।। পুবাকাশ

তালেব মাস্টার

(মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়- কে)
তালসোনাপুরের তালেব মাস্টার আমি:
আজ থেকে আরম্ভ করে চল্লিশ বছর
দিবসযামী
যদিও করছি লেন নয় শিক্ষার দেন
(মাফ করবেন! নাম শুনেই চিনবেন)
এমন কথা কেমন করি বলি !
তবুও যখন ঝাড়তে বসি স্মৃতির থলি
মনে পড়ে অনেক অনেক কচি মুখ,
চপল চোখ :
শুনুন :গর্বের সাথেই বলি :
তাদের ভেতর অনেকেই এখন বিখ্যাত লোক !
গ্রাম্য পাঠশালার দরিদ্র তালেব মাস্টারকে
না চিনতে পারেন ! কিন্তু তাদেরকে
নাম শুনেই চিনবেন ।
(মূনাজাত করি ; খোদা তাদের
আরও বড় করেন ।)
অনেক বয়স হয়ে গিয়েছে আমার
পিঠ বেঁকে গিয়েছে আর
চোখেও ভাল দেখি না তেমন
তাই ভাবছি : সময় থাকতে থাকতে এখন
আত্ম কাহিনীটা লিখে যাবো আমার !

রবিবাবু থেকে আরম্ভ করে আজকের
তারাশঙ্কর বন্দ্যোপধ্যায়
আরও কত সাহেব, চট্রোপাধ্যায়,
মুখোপাধ্যায়, রায় ,
কত কাহিনীই ত আপনারা লিখে গেলেন !
কিন্ত মানিকবাবু ! আপনি কি এমন একটি
কাহিনী শুনেছেন :
কোথাও রোমাঞ্চ নেই ! খাঁটি করুণ বাস্তবতা
এবং এই বাংলা দেশেরই কথা !

নমস্কার
আমিই সেই তালসোনাপুরের তালেব
মাস্টার ।
আরম্ভটা খুবই সাধারণ ! কারণ
রক্তস্নানে শুভ্র হয়ে সত্তর বছর পূর্বে যখন
প্রথম আলো দেখলাম,হাসলাম এবং
বাড়লাম
তখন থেকেই ট্রাজিডি চলছে অবিরাম !
লেখাপড়ায় যদিও খুব ভাল ছাত্র ছিলাম
অষ্টম শ্রেণীতে উঠেই বন্ধ করে দিতে হল
কারণ –
পিতা – মাতার সংসারে নিদারুণ অনটন !
জমিদার সাহেবের কৃপায় চাকুরি জুটে গেল
একখানা
ডজন খানেক ছেলেমেয়ে পড়ানো ; মাসিক
বেতন তিন টাকা আট আনা !
(তাদের ভেতর একজন এখন ব্যরিস্টার !
জানিনা তালেব মাস্টারকে মনে আছে
কিনা তার !)

পাঠশালা খুলেছি তারপর
সুদীর্ঘ দিন ধরে বহু ঝঞ্চা ঝড়
বয়ে গেছে । ভুলেছি-
অক্লান্তভাবেই জ্ঞানের প্রদীপ জ্বেলেছি।
পানির মত বছর কেটে গেল
কত ছাত্র গেল, এল-
প্রমোশন পেল
কিন্ত দশ টাকার বেশী প্রমোশন হয়নি
আমার !
কপালে করাঘাত করেছিলাম জীবনে প্রথম
সেবার
যখন টাকার অভাবে একটি মাত্র ছেলের
লেখাপড়া বন্ধ হল ।
আক্রার বাজার । চাল-নুনেই কাবার !
কী-ই বা করার ছিল আমার !
ঘরে বৃদ্ধ মা বাপ
পুরাতন জ্বরে ভুগে ভুগে তারাও যখন ছাড়ল
শেষ হাঁপ
দু:খ করে শুধু খোদাকে বলেছিলাম একবার:
এতো দরিদ্র এই তালেব মাস্টার !

তবু ছাত্রদের বুঝাই প্রাণপণ :
‘সকল ধনের সার বিদ্যা মহাধন’!
দেশে আসলো কংগ্রেস, স্বদেশী আন্দোলন
খিলাফতের ঝড় বইছে, এলোমেলো
খড়ো ঘরে ছাত্র পড়াই আর ভাবি : এই
সুদিন এল !
মন দিয়ে বুঝাই পলাশীর যুদ্ধ,
জালিয়ানওয়ালার হত্যা
হযরত মোহাম্মদ, রাম-লক্ষণ আর বাদশা
সোলেমানের কথা
গুন্ গুন্ করে গান গাই : ‘একবার বিদায় দাও
মা গো ঘুরে আসি
অভিরামের হয় দ্বীপান্তর ক্ষুদিরামের হয় –
মা গো ফাঁসি’ !
আসলো মোসলেম লীগ, কম্যুনিস্ট বন্ধু
সকলের কথাই ভাল লাগে : ভাবি এরাও বুঝি
দেশের বন্ধু !
কোথায় শুনি ঝগড়া লেগেছে ।
আগুন জ্বলেছে জ্বলুক ! ওরা-
তবু’ত জেগেছে! ভায়ে ভায়ে ঝগড়া কদিন
থাকে !
নিভবেই! বলি :
লেজে যদি তোদের আগুন লেগেই থাকে
তবে শক্রর
স্বর্ণ- লঙ্কাই পোড়া !
ছেলেটি কাজ করে মহাজনী দোকানে
মাসিক পাঁচ টাকা বেতন । প্রাণে
তবুও বেঁচে আছি আসলো পঞ্চাশ সাল
ঘরে- বাইরে হাটে-বাটে আকাল। ঘোর
আকাল !
একশো টাকা চালের মণ- পঞ্চাশ হায়
পঞ্চাশ !
ঘরে বাইরে দিনের পর দিন উপাস হায়
উপাস!
গ্রামের পর গ্রাম কাল- কলেরায় উজাড় !
নিরীহ তালেব মাস্টারের বুকেও বজ্র
পড়লো ! কলেরায়
ছেলেটি মারা গেল বিনা পথ্য বিনা
শুশ্রষায় !
কাফনের কাপড় জোটেনি তাই বিনা
কাফনে
বাইশ বছরের বুকের মানিককে কবরে শুইয়ে
দিয়েছি
এখানে !
এ-ই শেষ নয় -শুনেন : বলি :
মেয়েটাকে বিয়ে দিয়েছিলাম পলাশতলী
সেখানেও আকাল ! মানুষে মানুষ খায় ।
তিন দিনের উপবাসী আর লজ্জা বস্ত্রহীন
হয়ে নিদারুণ ব্যথায়
দড়ি কলসী বেঁধে পুকুরের জলে ডুবে মরেছিল
একদিন সন্ধ্যায়।

মানিকবাবু, আমি জানি : প্রাণবান
লেখনী আপনার
তালেব মাস্টারের সাথে হয়ত আপনিও অশ্রু
ফেলছেন বেদনার।
কিন্তু আশ্চর্য ! আজও বেঁচে আছি আমি
এবং অক্লান্তভাবে দিবসযামী
তালসোনাপুরের প্রাইমারী পাঠশালায়
বিলাই জ্ঞানালোক:
ছাত্রদের পড়াই -‘ধৈর্য্য ধরো, ধৈর্য্য ধরো
বাঁধ বাঁধ বুক
যত দিকে যত দু:খ আসুক আসুক …’।

শুভাকাঙ্খীরা সকলে আমায় বলে ‘বোকা
মাস্টার’
কারণ ঘরের খেয়ে যে বনের মোষ তাড়ায়
তা ছাড়া
সে কি আর !
যুদ্ধ থেমে গেছে । আমরা তো এখন স্বাধীন।
কিন্তু তালেব মাস্টারের তবু ফিরল না তো
দিন !
স্ত্রী ছয় মাস অসুস্থা
আমারও সময় হয়ে এসেছে : এই তো শরীরের
অবস্থা !
পাঁচ মাস হয়ে গেছে : শিক্ষা বোর্ডের
বিল নাই ।
হয়ত এ – বারের টাকা আস্তে আস্তে শেষ
হবে আয়ু তাই
শতছিন্ন জামাটা কাঁধে ফেলে এখনো
পাঠশালায় যাই
ক্ষীণ কন্ঠে পড়াই:
‘হে মোর চিত্ত পুণ্য তীর্থে জাগোরে ধীরে
এই ভারতের মহামানবের সাগর তীরে…
মনে মনে বলি :
যদিই ফোটে একদিন আমার এইসব সূর্যমুখীর
কলি!

ইতিহাস সবই লিখে রেখেছে । রাখবে-
কিন্তু এই তালেব মাস্টারের কথা কি লেখা
থাকবে?
আমি যেন সেই হতভাগ্য বাতিওয়ালা
আলো দিয়ে বেড়াই পথে পথে কিন্তু
নিজের জীবনই অন্ধকারমালা ।
মানিকবাবু ! অনেক বই পড়েছি আপনার
পদ্মানদীর মাঝির ব্যথায় আমিও কেঁদেছি
বহুবার।
খোদার কাছে মুনাজাত করি : তিনি
আপনাকে দীর্ঘজীবী করুণ
আমার অনুরোধ: আপনি আরও একটা বই লিখুন
আপনার সমস্ত দরদ দিয়ে তাকে তুলে ধরুন
আ-র,আমাকেই তার নায়ক করুণ !
কোথাও রোমান্স নেই ! খাঁটি করুণ বাস্তবতা-
এবং এই বাংলা দেশের কথা ॥

আশরাফ সিদ্দিকী

আজ ১ মার্চ, বাঙলা ভাষার অন্যতম কবি, লেখক ও লোক গবেষক ড.আশরাফ সিদ্দিকীর জন্মদিন।  বিংশ শতাব্দীতে যেসব কবি ও সাহিত্যিক বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছেন-তিনি তাদেরই একজন। তিনি সবমিলিয়ে পাঁচ শতাধিক কবিতা লিখেছেন। গবেষণা করেছেন বাংলার লোকঐতিহ্য নিয়ে। তিনি একাধারে প্রবন্ধকার, ছোটগল্প লেখক, ঔপন্যাসিক, লোকসাহিত্যিক ও শিশু সাহিত্যিক। বাংলা সাহিত্যে অবদানের জন্য পেয়েছেন বাংলা একাডেমি পুরস্কার ও একুশে পদক।

১৯২৭ সালের পহেলা মার্চ তার নানাবাড়ি টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার নাগবাড়ি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন আশরাফ সিদ্দিকী। তার বাবা আব্দুস সাত্তার সিদ্দিকী ছিলেন একজন শৌখিন হোমিও চিকিৎসক এবং ইউনিয়ন পঞ্চায়েত ও ইউনিয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান। আর মা সমীরণ নেসা ছিলেন স্বভাব কবি।

আশরাফ সিদ্দিকীর শিক্ষাজীবনের শুরু তার নানাবাড়ির পাঠশালায়। দ্বিতীয় থেকে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পড়েন তার বাবার প্রতিষ্ঠিত রতনগঞ্জ মাইনর স্কুলে। সপ্তম শ্রেণিতে উঠার পর ভর্তি হন ময়মনসিংহ জেলা স্কুলে। এ সময় তিনি ময়মনসিংহ শহরে মামা আবদুল হামিদ চৌধুরীর বাসায় থেকে পড়াশুনা করতেন আর কবিতা লিখতেন। স্কুল ও কলেজের পড়া শেষ করার পর ভর্তি হন ভারতের শান্তিনিকেতন বিশ্ববিদ্যালয়ে, বাংলা অনার্সে। কিন্তু খুব বেশিদিন সেখানে পড়ার সুযোগ হয়নি তার। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পর শান্তিনিকেতনের পড়া ফেলে দেশে ফিরে আসেন। এর পরের বছর  টাঙ্গাইলের করটিয়া সরকারি সা’দত কলেজ থেকে অনার্স পাস করেন। অনার্স কোর্সে বাংলা সাহিত্যে তিনি সম্মিলিত মেধা তালিকায় প্রথম হন। তিনি ১৯৫০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৫৮ সালে দ্বিতীয়বার এমএ করেন যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এবং একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬৬ সালে লোকসাহিত্যে পিএইচডি করেন।

১৯৫০ সালে টাঙ্গাইলের কুমুদীনি কলেজে অধ্যাপনার মাধ্যমে তার কর্মজীবন শুরু করেন আশরাফ সিদ্দিকী। বিভিন্ন সময়ে তিনি রাজশাহী কলেজ,  ঢাকা কলেজ, ময়মনসিংহ আনন্দ মোহন কলেজ ও  জগন্নাথ কলেজে শিক্ষকতা করেছেন। ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর প্রিয়পাত্র হওয়ায় তার সাথে গবেষণার জন্য ১৯৫১ সালের নভেম্বর মাসে ডেপুটেশনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দিয়েছিলেন, যদিও এখানে খুব বেশিদিন তিনি কাজ করেননি।
কেবল শিক্ষকতা নয়, বেশ কয়েক বছর তদানীন্তন কেন্দ্রীয় বাংলা উন্নয়ন বোর্ডের পরিচালক ও বাংলাদেশ ডিসট্রিক্ট গেজেটিয়ার এর প্রধান সম্পাদক হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি। ১৯৭৬ সালে মহাপরিচালক হিসাবে বাংলা একাডেমিতে  যোগ দেন এবং ছয় বছর এ দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ১৯৮৩ সালে অধ্যক্ষ হিসেবে যোগ দেন জগন্নাথ কলেজে। এখান থেকেই দীর্ঘ ও বর্ণিল এক কর্মজীবনের ইতি টানেন ড.আশরাফ সিদ্দিকী।

আশরাফ সিদ্দিকীর সাহিত্য জীবন শুরু কবিতা দিয়ে। ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ার সময়ই ‘নববর্ষা’নামে প্রথম কবিতা রচনা করেন। সপ্তম শ্রেণিতে থাকাকালীন তার কবিতা  প্রকাশিত হয় স্বগত ও পূর্বাশা সাহিত্য পত্রিকায়। এ সময় তিনি কিছু আঞ্চলিক বাংলা ধাঁধা সংগ্রহ করে কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে পাঠালে তিনি আশরাফ সিদ্দিকীর প্রশংসা করেন।

দেশবিভাগের পর অভাবের তাড়নায় এক স্কুল শিক্ষক তার পরিবারের সবাইকে নিয়ে আত্মহত্যা করে। এই ঘটনা তাকে নাড়া দেয় এবং তার সাহিত্য রচনার প্রেরণা হয়ে দাঁড়ায়। এই ঘটনা অবলম্বনে তিনি লেখেন ‘তালেব মাষ্টার’কবিতাটি, যা ১৯৫০ সালে ‘তালেব মাষ্টার ও অন্যান্য কবিতা’ কাব্যসংকলনে স্থান পায়। এরপর একে একে প্রকাশিত হয় তার কাব্যগ্রন্থ সাত ভাই চম্পা, বিষকন্যা, উত্তরের তারা, বৃক্ষ দাও, ছায়া দাও (১৯৮৪)
দাঁড়াও পথিক বর (১৯৯০) ও সহস্র মুখের ভিড়ে (১৯৯৭) কাব্যগন্থ।

কেবল কবিতা নয়, কথাশিল্পী হিসাবেও সুনাম রয়েছে আশরাফ সিদ্দিকীর। ১৯৬৫ সালে রাবেয়া আপা নামক গল্প দিয়ে গল্পকার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন তিনি। তবে গল্পকার হিসেবে আলোচনায় আসেন ‘গলির ধারের ছেলেটি’গল্পের মাধ্যমে। এ গল্প অবলম্বনে আশির দশকে চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন বিখ্যাত পরিচালক সুভাষ দত্ত।  ‘ডুমুরের ফুল’ নামের ওই  চলচ্চিত্রটি একাধিক জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছে।

শুধু গল্প বা কবিতা নয় বেশ কয়েকখানা উপন্যাসও লিখেছেন এই সাহিত্যিক। পাশপাশি শিশুদের জন্যও লিখেছেন গল্প ও উপন্যাস। যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয়ে লোক সাহিত্য বিষয়ে পড়ার সময় তিনি রচনা করেন শিশুতোষ সাহিত্য ‘সিংহের মামা ভোম্‌বল দাস’ যা ১১ টি ভাষায় অনূদিত হয়। এছাড়া বাংলাদেশের লোক সাহিত্য নিয়ে লিখেন লোক সাহিত্য প্রথম খণ্ড। এরই ধারাবিহিকতায় কিংবদন্তির বাংলা, শুভ নববর্ষ, লোকায়ত বাংলা, আবহমান বাংলা, বাংলার মুখ বইগুলো প্রকাশিত হয়। ছোটবেলায় মায়ের কাছ থেকে শুনা রূপকথার গল্প থেকে অণুপ্রাণিত হয়ে ১৯৯১ সালে লেখেন বাংলাদেশের রূপকথা নামক বইটি।

বাংলা সাহিত্যে অবদানের স্বীকৃতি হিসাবে দেশে বিদেশে অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন আশরাফ সিদ্দিকী। এগুলোর মধ্যে অন্যতম বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার (১৯৬৪), রিডার্স ডাইজেস্ট পুরস্কার (১৯৬৪), ইউনেস্কো পুরস্কার (১৯৬৬), একুশে পদক (১৯৮৮) ও  ড. দীনেশচন্দ্র সেন সম্মাননা।
এছাড়া তার জীবন ও কীর্তি নিয়ে জীবন-সংস্কৃতির জলছবি নামক একটি প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ ও একটি ওয়েবসাইট তৈরি করেছে আশরাফ সিদ্দিকী ফাউন্ডেশন, যেখানে তার শৈশব ও সাক্ষাৎকারসমূহ চিত্রায়িত হয়েছে। এছাড়াও তার তালেব মাস্টার ও অন্যান্য কবিতা সংকলনের একটি সিডি বের করেছে আশরাফ সিদ্দিকী ফাউন্ডেশন।

কেবল সাহিত্যিক হিসাবেই নয়, সংসার জীবনেও দারুণ সফল ছিলেন আশরাফ দিদ্দিকী। তিনি ১৯৫১ সালের ২৩ ডিসেম্বর সাঈদা সিদ্দিকীকে বিয়ে করে সংসার জীবন শুরু করেন। তার স্ত্রী সাঈদা সিদ্দিকী ছিলেন আজিমপুর গালর্স হাই স্কুলের শিক্ষিক। তাদের পাঁচ ছেলেমেয়ের সবাই উচ্চশিক্ষিত এবং নিজ নিজ পেশায় সুপ্রতিষ্ঠিত।

২০২০ সালের ১৯ মার্চ ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন কবি, সাহিত্যিক ও লোক গবেষক আশরাফ সিদ্দিকী। বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
আজ কবি’র ৯৫তম জন্মজয়ন্তী।

মন্তব্য করুন

এখানে মন্তব্য লিখুন
এখানে আপনার নাম লিখুন