কবিতাপত্র P|O|L ও নতুন এক মাত্রা ‘ র পাঠপৈতান
গাফফার মাহমুদ
পুবাকাশ
             

লিটল ম্যাগাজিন গবেষণা তথ্য মতে, Ralph Waldo Emerson ও Margaret Fuller সম্পাদিত The Dial (Boston, 1840—1844) প্রথম সমালোচনা সাহিত্যপত্র। লিটল ম্যাগাজিনের আরেক প্রভাবশালী পত্রিকা Savoy তে লিখলেই বিশ্বসাহিত্য আলোচনার শিখরে পৌছে যেতো। বিশ শতকের গোড়ার দিকে সবচেয়ে নামী সাহিত্যপত্র ‘ Poetry : A Magazine Of Verse (Chicago :1912) সম্পাদনা করতেন প্রখ্যাত কবি হেরিয়েট মনরো ও এজরা পাউন্ড।

সম্প্রতি হাতে এলো ইংল্যান্ড থেকে প্রকাশিত এ সময়ের সবচেয়ে পাঠকপ্রিয় কবিতাপত্র Bridging gaps between poets P|O|L Poetry Out Loud ঢাকা বইমেলা সংখ্যা। কবিতায় উত্তরাধুনিক চিন্তায় স্বপ্ল সময়ের মধ্যেই পত্রিকাটি চলে এসেছে আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে। চলতি সংখ্যাটি সাজানো হয়েছে কবিতা নিরীক্ষার চার পর্ব।
সৌন্দর্য মগ্নতায় ডাকো
কবি খুলে দিবে তাকে
কবি এমিলি প্রাইস্ট সৌন্দর্য মগ্নতায় আঁকেন
Called me beautiful.
             So opened for him
             and let him peel me —
          ( The First : Emily Priest )
কবি গৌরাঙ্গ মোহন্ত, ওবায়েদ আকাশ, ফারুক আফিনদী, মাহফুজ আল-হোসেন, অশোক কর, মাসুদার রহমান, জাহিদ সোহাগ, আশরাফুল কবীর, জেমস সুদারল্যান্ড-স্মীথ।
প্রবাসের কবি শামীম আজাদ কবিতায় সিদ্ধহস্ত হন ‘ বিদ্যমান ‘ জীবন বোধ পলেস্তারাশৈলীতে এবং গেয়ে ওঠেন স্তুপাকার মূর্ছনা—
          Life is bundle of mingled yarn
          humongous and hazy
          tightly tangled
          when you see from near.
         ( Being : Shamim Azad )
মাহফুজা অনন্যা, শুক্লা গাঙ্গুলি, শ্যামলী রক্ষিত, মোহাম্মদ ইকবাল, তৃনা চক্রবর্তী, নীলা হারুন, শ্যামশ্রী রায় কর্মকার, মৃণালীনি, তাপসী লাহা, পদ্মনাভ অধিকারী, পীযূষ কান্তি বড়ুয়া।

দ্বিতীয় অধ্যায়ে কবি মুহাম্মদ নুরুল হুদা দীর্ঘকবিতায় সূচীবদ্ধ হয়েছেন।

কবিতায় তৃতীয় মাত্রা অন্তর্ভূক্ত কবি হলেন, ডেভিট লী মর্গান, খালেদ উদ-দীন, দিলু নাসের, উমাপদ কর, প্রাণ জি বসাক, ড. এমএস অধিকারী, বিনয় লাহা, নিবেদীতা লাখেরা, রাখী সর্দার।

গাফফার মাহমুদ কবিতায় তুলে আনেন মুজিববর্ষে রচিত পংক্তি ‘ শাণিত শব্দ, ধ্বনিত উচ্চারণ ‘
Sheikh Mujib is the immortal name as long Bangladesh will exist.
( Sharpened Words, Voiced Euphony : Gaffar Mahmud )
কুমার চক্রবর্তী, শুক্লা রায়, মনিরুল মোমান, আবু মকসুদ, নুরজাহান রহমান, সৈয়দ রুম্মান, সমীর কুমুদী, কাজী জুবায়ের মোস্তাক, রাজা হাসান, উদয় শংকর দুর্জয়, রোকসানা লেইস।

শেষের চতুর্থ অধ্যায় সাজানো হয়েছে কবিতাপত্রটির বিগত সংখ্যার পুনর্পাঠ দিয়ে। চমৎকার আলোচনা লিখেছেন কবি বিনয় লাহা এবং আশরাফুল কবীর।

পরিশীলিত সম্পাদকীয় ভাবনায় সম্পাদক তুলে ধরেন কবিতায় প্রাচ্য এবং পাশ্চাত্য চিন্তার পরিস্ফুটন। যা ইতোমধ্যেই পাঠক লক্ষ্য করে দেখেছেন। Poetry Out Loud P|O|L কবিতাপত্রটি হয়ে উঠছেন আন্তর্জাতিক কবিতা ভাবনার পত্রিকা হয়েই। আহমেদ রাজুর নান্দনিক প্রচ্ছদে P|O|L সম্পাদনা করেন উদয় শংকর দুর্জয়। কবিতা বিশ্বের ৫০ জন কবির কবিতা নিয়ে ৮০ পৃষ্ঠার এ সংখ্যাটির দাম : একশত টাকা (বাংলাদেশ) ; পাঁচ ডলার (ইউএসএ)। দ্বিতীয় বর্ষ | ফেব্রুয়ারি ২০২০| ঢাকা বইমেলা দ্বিতীয় সংখ্যা। কবিতাপত্রটি প্রকাশিত হয় কবিতাশহর লন্ডন থেকে। কবিতার জন্য এ এক নান্দনিক কাজ। বছরে অন্তত: দুয়েকটি প্রকাশনা করে হলেও নিয়মিত প্রকাশ হোক এ কবিতাপত্রটি। পত্রিকাটি পাওয়া যাবে বাংলাদেশ—ভারত এবং লন্ডনের অভিজাত বইপত্র বিক্রয়কেন্দ্রে। অর্থ-শ্রম ঘনিষ্ট এমন সুন্দর প্রকাশনার জন্য প্রিয় কবি—সম্পাদক উদয় শংকর দুর্জয়কে সাধুবাদ।

ভিন্ন মাত্রার কাগজ ‘ নতুন এক মাত্রা ‘
            
শিল্পের উৎকর্ষে রচিত হয় মূর্ত প্রতীকী রঙ নন্দন ফিদা হুসেন—কালিদাস চিত্রকর্ম প্রভা। সাহিত্য সৃষ্টির পেছনে কাজ করে উপলব্ধির ধ্যানমগ্নতা। আত্ম অনুসন্ধিৎসু চোখ খোঁজে জাগতিক নতুন ভোর। ভিন্ন মাত্রার সৃষ্টির নেশায় মগ্ন থাকে আঁতুড়ঘরে। ভূ-তত্ত্বের মৃত্তিকা বিজ্ঞান খুড়ে আনেন আদিমতার সৃষ্টির ফসিল। এ যেন এক নিপূণ আবরণ সমৃদ্ধির বাতাবরণ। তো বলছিলাম, শিল্প সাহিত্য ও সংস্কৃতির কাগজ ‘ নতুন এক মাত্রা ‘র পাঠ পূর্বাভাষ। পাঠকদের বুক সেলফে নয় অনুভূত বুকে ঢুকে গেছেন নিউরনন চিন্তার উৎকর্ষতায়। সম্প্রতি পড়ছিলাম কাগজটির হেমন্ত সংখ্যা। সূচীবদ্ধ এ সংখ্যায় অন্তর্ভুক্ত মলাট উল্টালেই মহিয়সী কবি সুফিয়া কামালের ‘ হেমন্ত ‘ প্রচ্ছদ কবিতা।

কবি আল মাহমুদ অন্তপ্রাণ সজ্জন, লেখক-গবেষক প্রয়াত মুহাম্মদ মুসা এবং কবি-গবেষক ড. ফজলুল হক তুহিনের কথোপকথন সাক্ষাৎকার ‘ আল মাহমুদ ট্রেনে বক্তৃতা দিয়ে রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের পক্ষে জনমত তৈরি করতো ‘ উঠে এসেছে জীবন ঘনিষ্ট আল মাহমুদ কবি মানস, ভাষা সংগ্রাম এবং কবিতার বাঁকবদল আল মাহমুদ ধারা প্রবর্তন। মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্মরণ পর্বে ‘ খান আতাউর রহমান বাংলা চলচ্চিত্রের অবিচ্ছেদ্য অধ্যায় ‘ সুজন আরিফের খান আতার আখ্যান সমগ্র প্রবন্ধ। লেখক হাজেরা নজরুল ‘ মুক্তিযুদ্ধ, জীবনযুদ্ধ ও হাজেরা নজরুল ‘ গবেষণালব্ধ প্রবন্ধ লিখেছেন আহমদ বাসার। লেখক আলোকপাত করলেন প্রেক্ষিত হাজেরা নজরুল মূল্যায়ণ স্মৃতিপট গদ্যভাষ। লেখক-চিন্তক আবুল কাসেম স্যারের পঠিত ভাষণ ‘ বাংলা ভাষা ও বাংলাদেশ ‘ প্রবন্ধ লিখেছেন আবুল কাসেম ফজলুল হক। ‘ হরপ্রসাদ-শহীদুল্লাহ্ স্মারক বক্তৃতা ‘ পাঠকদের প্রবন্ধ পাঠের নতুন চিন্তার উন্মেষ। সাহিত্য ও মনোবিজ্ঞান চিন্তার উপলব্ধি এনেছেন ‘ সাহিত্য ও মনোবিজ্ঞান অগোচরে আলোয় ‘ লেখক শামীমা হামিদ। কবিতা মনোজাগতিক উত্তরণ, কাব্যে গোধূলি ছায়াচ্ছন্ন ম্লান, সৌন্দর্য সৃষ্টি, ইন্দ্রিয় প্রভা পরাবাস্তবতার নিরীখ তুলে ধরেছেন প্রাবন্ধিক বকুল আশরাফ ‘ যেভাবে কবিতা বুঝি ‘ কবিতা সংশ্লেষণ প্রবন্ধে। আরও একটি দরকারী ‘ সমালোচকের দায়বোধ ‘ প্রাবন্ধিক মুহাম্মদ ফরিদ হাসান উল্লেখ করেছেন, রাজেন্দ্রলাল মিত্র সম্পাদিত ‘ বিবিধার্থ সংগ্রহ ‘ উনিশ শতকের

মধ্যভাগ (১৮৫১) মাসিক পত্রিকার মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যে সর্বপ্রথম সমালোচনার সূত্রপাত! বিশ্ব সাহিত্য  সমালোচকদের তীব্র ভর্ৎসনা করতে কুণ্ঠিত হননি স্বয়ং তলস্তয়ও। আমাদের ‘ শুদ্ধতম কবি ‘ জীবনানন্দ দাশও সমালোচকদের প্রতি ছিলেন ত্যক্ত বিরক্ত। রবীন্দ্র সমাজ দর্পন নাটক, লৌকিক জীবন, সংস্কৃতির সংস্কার, পাললিক চিন্তাদর্শন উঠে এসেছে উচ্চমার্গের রবীন্দ্র প্রতীভার সানুপুংখ শব্দলিপি। লেখক রুবেল আনছারের ‘ রবীন্দ্র—নাটকে বাংলার লৌকিক জীবন ‘ শীর্ষক প্রবন্ধে। বাংলা সাহিত্যে সার্থক নন্দিত গল্পকার অধ্যাপক শাহেদ আলী ( ২৬ মে ১৯২৫—৬ নভেম্বর ২০০১) যার শুরুর গল্প ‘ সওগাত ‘ পত্রিকা থেকে বিস্তর পরিধি।

সমসাময়িক গল্পভাষ্যে প্রিয় গল্পকার শাহেদ আলী ছিলেন আমাদের আরেক বিভূতি। জনপ্রিয় এ গল্পকারকে নিয়ে লিখেছেন সীমান্ত আকরাম ‘ গল্পের মানুষ শাহেদ আলী ‘ ধন্যবাদ, প্রবন্ধিককে সমৃদ্ধ এ গদ্যভাষে। এ সংখ্যায় গল্প লিখেছেন দিলারা মেসবাহ, শাদমান শাহিদ, আসাদুজ্জামান জুয়েল। ছোট গল্প নির্ভর ‘ পূর্ণিমা যারে পায় ‘ ; ‘ বানর, বিশ্বায়ন ও স্বপ্নধাঁধা ‘ এবং ‘ মিৎসুকি—মমোকা ‘ পাঠকদের নতুন গল্প পড়ার মুগ্ধ পাঠতৃপ্তি।

নোবেল সাহিত্য বিশ্বে এ বছর পুরস্কার বিজেতা ওলগা তোকারচুক ও পিটার হান্ডকে নোবেল প্রশ্নের নতুন বিতর্কের উদ্ভব। বিশ্বসাহিত্য আলোচনা ‘ সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী ওলগা তোকারচুক ও পিটার হান্ডকে এবারও বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না ‘ লেখক আহমদ মতিউর রহমানের শীর্ষক আলোচনা বেশ ঋদ্ধ এবং সময়োপযোগীও। ঐতিহ্যের ইতিহাসলিপি পলেস্তারা খসে পড়া স্থাপত্যশৈলী প্রাচীন বাংলার সমৃদ্ধ নগর সোনারগাঁ পানাম নগরী মুসলিম রেনেসাসের পুরাকীর্তি নিয়ে কাজী মো. মোস্তাফিজুর রহমান লিখেছেন ‘ পানাম নগর ইতিহাস ও স্থাপত্যশৈলী ‘র নতুন সচিত্র ইতিহাস। কবিতাগুচ্ছ অন্তর্ভুক্ত কবি আল মুজাহিদী, কালীকৃষ্ণ গুহ, ফরিদ আহমদ দুলাল, মোশাররফ হোসেন খান, ফজল মাহমুদ, সোলায়মান আহসান, দিলীপ কির্ত্তুনিয়া, হেলাল আনওয়ার, মোস্তাক রহমান, আনোয়ারুল ইসলাম, তাহমিনা কোরাইশী, শাহীন ভূঁঞা, মাহফুজুর রহমান আখন্দ, মোহাম্মদ শামীম, গাফফার মাহমুদ, বাপ্পি সাহা, হাসান হাবিব, সাইয়্যিদ মঞ্জু, অর্পনা হালদার, নিঃশব্দ আহমদ, বঙ্গ রাখাল, উল্লেখিত কবি সমৃদ্ধ করেছেন কবিতার সুবর্ণদ্যূতি। ভ্রমন পিয়াসী মঈনুস সুলতান লিখেছেন ‘ কাসা-দে-কুলতুরা ও জুতাশিল্পী ‘ ভ্রমনের আনন্দ রস। পাঠকদের একগুয়েমি চিন্তার আমূল ভিন্নতা রসে মাহবুব হাসানের ‘ গুচ্ছ কবিতা ‘ ; কামরুজ্জামানের কবিতা ; প্রদীপ করের কবিতা বর্ণমালার সুবর্ণলতা। অগ্রজ কবি সরকার মাসুদ বিশ্বসাহিত্যে টমাস মান উপন্যাস ও শিল্পভাষ ভাষাচিত্রে ভিন্নতার পরিচ্ছেদ। কীর্তিচিত্রণ চিন্তাধারা পর্বে লিখেছেন মুসা আল হাফিজ ‘ দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ পাদ্রির দেখা সুপারম্যান ‘ জনাব দেওয়ানের মুল্যায়ণ। মোহাম্মদ ওয়াসিম শিল্পকলা বিষয়ে লিখেছেন সুরস্রষ্টা কে. মল্লিককে নিয়ে বিস্মৃতির অন্তরালের স্মৃতিগদ্য। ছড়াগুচ্ছ বিভাগে শাহীন রেজা, ইমরান আজিম, আহমেদ জুয়েল, আবদুল হাই ইদ্রিছী উল্লেখযোগ্য নাম। ধারাবাহিক রচনা ভান্ডার ‘ পদ্মাপাড়ের উপাখ্যান ‘ লিখেছেন নাজিব ওয়াদুদ। হুমায়ুন কবিরের লেখা ‘ সাহিত্য ও সম্প্রদায় ‘ পুনর্পাঠের ঋদ্ধ আবেশ। লেখক মোহাম্মদ সাদ উদ্দিন স্মরণ করে লিখেছেন আবদুল আজিজ আল আমানকে নিয়ে লেখা। আরও আছে বাঙালি জাগরণের মুসলমান চিন্তক সাবলীল গদ্যের শিল্পী মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলীকে নিয়ে শাশ্বত শাহেদের লেখা। রয়েছে নেপাল কংগ্রেসের প্রথম প্রধানমন্ত্রী বিশ্বেশ্বর প্রসাদ কৈরালার (১৯১৫—১৯৮২) গল্প অনুবাদ গল্প ‘ সৈনিক ‘ অনুবাদের পাঠকদের চমৎকার মুন্সিয়ানার ভাষাশৈলী উপহার দিয়েছেন অনুবাদক হোসেন মাহমুদ। উল্লেখ্য, গল্পকার কৈরালা বিপি কৈরালা নামেও সমধিক পাঠক প্রিয় ছিলেন। সূচি বিন্যাস পাঠচিত্রণ ‘ বইপত্র ‘ বিন্যাসিত বই ‘ জাকির আবু জাফর ‘ চোখের আড়াল অথচ দৃষ্টির সান্নিধ্যে ‘ কবিতা বইয়ের নান্দনিক আলোচনা করেছেন লেখক শাহাদাৎ সরকার ; ইতিহাসগ্রন্থ ‘ বাংলার বিলুপ্ত রাজধানী ও জনপদ ‘ সৌমেন সাহার বইয়ের পাঠক্রিয়া লিখেছেন খাদিজা খাতুন ; কবি আনোয়ার কামালের কবিতা বই ‘ ফসিলে জমানো চিহ্ন ‘ লিখেছেন বাবুল আনোয়ার। শেষের সূচীপত্রে আছে সাহিত্য সংবাদ ‘ সাহিত্য সন্দেশ ‘ এবং আছে ‘ নতুন এক মাত্রা ‘র শরৎ সংখ্যার পাঠকের মতামত বিভাগ। বাজারে অনেক পত্র-পত্রিকাই চোখে পড়ে। কিন্তু মনন উৎকর্ষতায় দরকার সমৃদ্ধ সাহিত্যপত্র। পাঠকদের চাহিদা পুরনে যে কাগজটি ইতোমধ্যেই নজর কেড়েছে সমহিমায় সেটি হলো ‘ নতুন এক মাত্রা ‘। পত্রিকাটি সম্পাদনা করেন সম্পাদক : আল মুজাহিদী এবং নির্বাহী সম্পাদক : ড. ফজলুল হক তুহিন। বড়—ছোট লেখক তোয়াক্কা নেই কাগজটির। ভালো লেখা যে-ই লিখুক, কাগজটি প্রকাশ করেন সানন্দেই। প্রকাশকাল : কার্তিক-অগ্রহায়ণ ১৪২৬, নভেম্বর-ডিসেম্বর ২০১৯ ; পঞ্চম বর্ষ ষষ্ঠ সংখ্যা। একশ’বিশ পৃষ্ঠার এ কাগজটির দাম : মাত্র চল্লিশ টাকা। প্রচ্ছদ ও অলংকরণ করেন খ্যাতিমান শিল্পনির্দেশক সাইফ আলি। পত্রিকাটি প্রকাশ হয় মতিঝিল, ঢাকা—১০০০ থেকে।

সহমত পোষণ ‘ সাহিত্য হয়ে উঠুক সকলের কল্যাণ অর্জনের উপায় ‘ সম্পাদকীয় এ যপমন্ত্র  বাসনা হোক পূর্ণ। সমৃদ্ধ সাহিত্য প্রয়াসে ‘ নতুন এক মাত্রা ‘ টিকে থাকুক আপন বলয়ে এ প্রত্যাশা পাঠক হিসেবে আশা করছি খুউব।

গাফফার মাহমুদ: সম্পাদক : চিত্রণ,ডাকঘর চত্বর, কৌরিখাড়া
স্বরূপকাঠি, বরিশাল।

মন্তব্য করুন

এখানে মন্তব্য লিখুন
এখানে আপনার নাম লিখুন