কবিতা
এখনো সন্ধ্যা ঝুলে আছে
নাসির উদ্দিন আহমদ
পুবাকাশ
কঃ
আজও ভূমিকম্প হলো
বিছানায় কেঁপে উঠলো পুরনো অক্ষর
দুলে ওঠা দরদালানের ভিতর
তোমাকে আবিষ্কার করতে গিয়ে
মনে পড়লো একদিন রিখটার স্কেলে
তুমিও
ছিলে ছয় দশমিক সাত!
খঃ
তাই?
আমি তো সটান ভোরের ভিতর
অপার নিদ্রাকুসুম মেখে
কোন মতে হয়েছি কাৎ
হয়তো তখনই এসেছে তোমার কম্পন
কিছুই পাইনি টের!
কঃ
আজকাল তুমি তো কিছুই বুঝো না
ঘন্টার পর ঘন্টা আটকে রেখে
রাস্তায়
ভিআইপি সেজে সাঁই সাঁই উড়ে যাও
আমি স্ক্রিনে ঝুলিয়ে রেখে অবাধ্য চোখ
এক সময় খুলে ফেলি প্রতীক্ষার ভোর!
খঃ
ভুল বুঝো নাএখনো ভেতর জুড়ে কবিতার ডানা
যে কোন অক্ষর সাজাতে দাও
দেখবে
আমি ভালোবাসা বানিয়ে ফেলব
বেলা অবেলায় ছিটকিনি খুলে দাও
চুম্বন এঁকে স্বপ্ন জ্বেলে দেব
বিমর্ষ নিলয়ে!
কঃ
থাক
অত কথা বাদ দিয়ে এসো
আজ রাত্রি বুনি
এখনো সন্ধ্যা ঝুলে আছে
বোতাম খুলে বসে আছে দিয়াবাড়ি
তুমিও
হাতে তুলে নাও অসম্ভব অনাদরে পড়ে
থাকা অনাব্য ঢেউ
বাতাসে তোল থৈ থৈ অন্ধকার!
খঃ
কি যে বলো!
জানালা খুলে দ্যাখো
ঝলসে যাচ্ছে শিরার লাবণ্য
আমাদের মেঘ এখন চুড়িহাট্টার আগুনে
দিয়েছে ঝাঁপ
হাহাকার বাতাসে লবণশূণ্য
ত্বক চমকায়
পাথরে জ্বলছে আগুন
গায়ে পাতায় সূর্যের শিৎকার
বৃক্ষ জন্ম ভুলে তপ্ত বালুতে
মুদ্রিত হচ্ছে দিগন্ত প্রচ্ছদ
কঃ
হোক না
তবু চলো পুড়ে যাই দুরন্ত উচ্ছ্বাসে
ভগ্ন স্তূপে বাঁধি গান
বিষবাষ্প ধুয়ে কবিতা হাতে এসো
তুলে নেব পাঁপড়ি বিন্যাসে
এসো তপ্ত হই পবিত্র পরশে
যুগল রোদের ভিতর তেতে উঠি
গ্রীষ্মের আদরে।
খঃ
আমি তো বৃষ্টি চাই
ক্ষয়ে যাওয়া রোদ্র শেষের ক্লান্ত গতরে
হুলস্থূল মেঘ ডাকো
চলো
সমস্ত অধ্যায় ভুলে বৃষ্টির
আদরে ধুয়ে ফেলি পোড়া গন্ধ দিন!
কঃ
তবে কি সেই পুরনো কথা কবি?
বৃষ্টি চাও পাবে
আগুন চাও পস্তাবে…