অনূদিত কবিতা : বুড়িয়ে যাওয়া মূল: ম্যাথু আর্নল্ড
অনুবাদ : আলমগীর মোহাম্মদ
[ম্যাথু আর্নল্ড (১৮২২- ১৮৮৮) খ্যাতিমান ইংরেজ কবি ও সাহিত্য সমালোচক। ভিক্টোরিয়া যুগের এই সাহিত্যিক ‘ডোবার বিচ’, ‘ দ্য স্কলার জিপ্সি’, ‘থারসিস’ প্রভৃতি কবিতার জন্য সমাদৃত। ১৮৮৮ সালে টিএস এলিয়টের জন্মের বছর তিনি পঁয়ষট্টি বছর বয়সে মৃত্যু বরণ করেন।
মূল ইংরেজি কবিতাটির নাম ‘Growing Old’। ]
“বুড়িয়ে যাওয়া” মূল: ম্যাথু আর্নল্ড
অনুবাদ : আলমগীর মোহাম্মদ
বুড়িয়ে যাওয়াটা কেমন?
এটা কি দেহের শৌর্য হারানো,
চোখের দ্যুতি হারানো?
এটা সুন্দরের জন্য প্রেয়সীর রাগ হজমের মতো?
হ্যাঁ, কিন্তু শুধু এটার জন্য নয়।
এটা আমাদের শক্তি পরখ–
আমাদের বিকাশ নয়, শুধু শক্তি — ক্ষয়?
এটা কি প্রতিটি শিরার
অচল হয়ে আসা, প্রতিটি ক্রিয়া বিচ্যুত হওয়া,
প্রতিটি স্নায়ুর দুর্বল হয়ে আসা?
হ্যাঁ, এটা, এবং আরো অনেক! কিন্তু না,
আহ, এটা তা নয় যা আমরা শৈশবে হওয়ার স্বপ্ন দেখতাম!
এটা কোন জীবন নয়
সূর্যালোকের মতো স্তিমিত হয়ে আসা
সোনালি এক দিনের অপচয়!
এটা পৃথিবীকে দেখা নয়
উঁচু থেকে, দৈব চক্ষু দিয়ে,
উদ্বেলিত অন্তর দিয়ে;
এবং কাঁদা, ও অতীতের রোমন্থন,
যে দিনগুলো আর নেই!
সারাদিন পার ক’রে দেয়া
এবং কখনো নিজেদেরকে জোয়ান না ভাবা।
যোগ করা, রুদ্ধ
বর্তমানের উত্তপ্ত কারাগারে, মাসের
পর মাস বিষণ্ন বেদনা ব’য়ে।
এটা ভোগা
এবং নিজেকে বুঝতে পারা তবে দুর্বলের ন্যায়ঃ
আমাদের গোপন অন্তরের গহীনে
বিষিয়ে ওঠে পরিবর্তনের ডাক
কিন্তু সেখানে কোন আবেগ নেই।
এটা — সবকিছুর শেষ মঞ্চ
আমাদের ভেতরটা যখন নিস্তেজ হয়ে যায়
আমাদের ভুতেরা,
জগৎ-পৃথিবীর কাছে প্রাণহীন আত্মার কীর্তন শুনতে
যারা জীবিত ব্যক্তির নিন্দা করতো।
আলমগীর মোহাম্মদ : শিক্ষক, প্রিমিয়ার ইউনিভারসিটি, চট্টগ্রাম।