পদাবলী


টিপু সুলতান


পুবাকাশ


অতি প্রয়োজন

খোদা তোমায় নিয়ে গদ্য লিখেতেছে
তুমি বিজ্ঞাপন হইয়া উঠতেছ
যেকোনো দুপুরে, যেকোনো সন্ধ্যের দিকে
এমন ভাবে মুখোমুখি হয়ে উঠেছ
তোমায় চিনে ফেলবে লোকমুখ
মসৃণ কুয়াশার হরিণীঝোপে রোদ,
গৃহদালানের ওপাশে কফিন হাওয়া
রাত্রির দুহাতে হালটির জ্যোৎস্নাসম্প্রদায়
কবিতার অভ্যাসেও জড়ায়ে যাচ্ছ
আমি পাঠ করছি নীরবে, প্রয়োজনে-
মর্মরিত কোলাহল ভেসে আসার আগে
অদূরে ন্যাড়া ডালপাতার মতো; তাকাই!

সমস্ত কথার সারমর্ম

ঝগড়া দিয়েই শুরু করা যাক, কোথাও
একটা ভালো কবিতা নেই, কি হাততালি
দেবেন না,তবে এবার বলি যে, দেশে-
স্বরশব্দের দুর্ভিক্ষ চলছে, কোথাও বিপ্লব নেই

একই দৃশ্য, ভিন্ন ভিন্ন বিস্ময় চোখ-
এইখানে তোমরা যারা ফিসফিস কর
সমস্ত কথার সারমর্ম দাগো,
গোপন মর্মরে আমি কেবল বিস্তর শুনি

মেরুদণ্ড ভাঙা বুড়ো শব্দের মুখোমুখি
ঘোর নিয়ে থির হয়ে আছ, ক্লান্ত পৃষ্ঠার
যমজ বেদনা ধরে, লেখ অলিখিত কবিতা!

চুম্বনের পাশে দু’জন

অবসরে শিশুমন প্রবেশ করে
নিবিড় এক কাঠগোলাপে, বাগানি-
নিশ্বাসে-উদাসীন সংযোগে ভরপুর
লবণাক্ত সম্পর্ক সেখানে শস্যদুপুর

আমার বেডরুম হতে খসে যাচ্ছি
আক্ষরিক গন্ধে তোমার পল্লিতে-
নাগরিকে; সবুজপলির গুদামঘর
আনন্দ কনসার্ট স্নিগ্ধ করে তোলে
মিসেস রাত, সুনসান গোপন গন্দমে
তাই গ্রন্থ পাঠ করি, সমস্ত স্থিরতায়-

দেখি, চুম্বনের পাশে দু’জন বসে আছি!


টিপু সুলতান: তরুণ কবি।

মন্তব্য করুন

এখানে মন্তব্য লিখুন
এখানে আপনার নাম লিখুন