গল্প


দ্বিতীয় জন্ম ।। সাবিনা পারভীন লীনা।। পুবাকাশ


মানুষের মুখ আছে, যা খুশি তা বলে। কেউ কারো মুখে হাত দিয়ে রাখতে পারে না। এই দেশে মুসলমানের সংখ্যা বাড়িয়ে উনি কি করতে চায় কে জানে! যারা আছে তাদের দিয়ে মনে হয় পোষাচ্ছে না–বলতে বলতে ভেতর থেকে ছেলের কণ্ঠ স্বর কানে এলো।

রোদ মরে যাচ্ছে ক্রমশ, চারপাশের কোলাহল ও হঠাৎ করে থেমে গেছে। মেহগনির ফুলে ছেয়ে গেছে পাশের টিনশেড বাড়িটার মূল ফটকের প্রবেশ পথ। হালকা বাতাসে পাতার ছায়ারা নেচে নেচে উঠছে। মিষ্টি একটা গন্ধ আর সিলিং এর পাখার শব্দ ছাড়া আর কিছুর অস্তিত্বই  এখন নিশাত টের পাচ্ছে না।

কেন, আঠাশ বছর পর কেন ফিরে এলো সে? আরো আগে আসলেই বা কী এমন হতো, কিছুই কি হতো ! এতোগুলো বছরে তার অভাব কখনো অনুভব করেছি?সে কি আমার জীবনের কোথাও ছিল! কিভাবে ছিল এতোকাল?

— তুমি সেই দুপুর থেকে এইখানে বসে আছো? আমি ভাবলাম মেয়ের পাশে শুয়েছো।না শুয়ে অবশ্য  ভালোই করেছ।মেয়েকে ছাড়া থাকার অভ্যাসটা করতে হবে তোমাকে। আমি চায়ের পানি বসিয়েছি, তুমি কি খাবে এখন?

মিনহাজকে দরজায় দাঁড়ানো দেখে ইজি চেয়ার ছেড়ে উঠতেই মাথাটা হঠাৎ ঝিমঝিম করে উঠলো। এক মুহুর্ত চোখ দুটো বন্ধ করে আবার খুলে- না না, আমিই বানাচ্ছি চা। ঘুম না আসার জন্যই এখানে বসেছিলাম, দিনদিন মোটা হয়ে যাচ্ছি। বসে বসেই ঝিমুনি এসে গেল। তুমি এ ঘরেই বসো, চা নিয়ে আসছি, কথা আছে।

রান্নাঘর থেকে এসে জানালার ভারী পর্দা সরিয়ে নিশাত
ডিভানের পাশে রাখা ছোট কাচের টেবিলে চায়ের ট্রে রেখে মিনহাজের পাশে বসলো।

–আলাউদ্দিন ভাইয়ের সাথে মনে হয় কথা হয়েছে তোমার। একটু আগে তেমন আভাসই দিলে। কেমন মানুষ তুমি, দুপুর থেকে এই কথা পেটে নিয়ে বসে আছো !

–বলার সুযোগ কি দিয়েছ? ভাবলাম পাশে শুয়ে শুয়ে -বলবো, তোমার দেখাই পেলাম না। আর এতো তাড়াতাড়ি বিয়ে দেওয়ার ইচ্ছে আমার ছিলনা। অন্তত অনার্স ফাইনালের আগেতো নয়ই। তোমার পিড়াপিড়িতে আমি রাজি হয়েছি। তুমি অকারণে এমনটা করোনি, এটাও বুঝি…
–কথা শেষ না করে চায়ের কাপ হাতে স্ত্রীর দিকে তাকালো।

চোখ দুটো গোলগোল করে,ডান কানের পাশে চুল সরাতে সরাতে– ‘আমার পিড়াপিড়িতে ‘ এর মানে কি? আজ দেড় বছর ধরে লেখাপড়া নেই,পরীক্ষা নেই। সবকিছু খোলা রেখে শুধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছে। এতে কি তোমার রিটায়ারমেন্ট বন্ধ থাকবে, ছেলেমেয়েদের বয়স থেমে থাকবে, নাকি চাকরির বয়সসীমা পরিবর্তন করবে?প্রতিদিন এতো এতো মানুষের মৃত্যু সংবাদ, আত্মীয়-স্বজন আর চেনা মুখগুলোর নাই হয়ে যাওয়া দেখতে দেখতে আমি ভীষণ ভয়ে আছি। আর কতোদিন এভাবে কাটাতে হবে,জানি না কেউ।

— আচ্ছা আচ্ছা,ঠিক আছে,শান্ত হও।আমি কথাটা ওভাবে বলতে চাইনি। বাদ দাও, আসল কথাই এখনো বলা হলো না। শোন,আজ অফিসে এসেছিল আলাউদ্দিন। বললো,ওদের সবকিছু পছন্দ হয়েছে।সংক্ষেপে প্রোগ্রাম সেরে ফেলতে চায় ওরা। বিয়ের তারিখ আর অন্যান্য বিষয়ে ফাইনাল করতে ছেলের বাবা দু’একজনকে নিয়ে আমাদের বাসায় আসতে চায়। কিন্তু আমি এখন আসতে মানা করেছি,বলেছি আরো কিছুদিন যাক। এরমধ্যে ছেলেমেয়ে পরস্পরকে একটু জানুক, বুঝুক।নিজেরা কথা বলুক, দেখা সাক্ষাত হোক।

–হা হা হা,আমাদের টেকনিক এখন তুমি মেয়ের বেলায়ও এপ্লাই করছো দেখি ! দেখো, ওরা কোথায় দেখা করবে, এটাও আবার তুমি ঠিক করে দিতে যেওনা।

পঁচিশ বছর আগের দিনগুলোতে ফিরে গিয়ে কখন যে সন্ধ্যা নেমে এলো, কেউ টের পায়নি তারা। আজান শুনে নিশাত জানালা বন্ধ করার জন্য গলা উঁচিয়ে ছেলেকে ডাক দিল– নিলয়…মশা সব ঘরে ঢুকে যাচ্ছে বাবা, তাড়াতাড়ি জানালাগুলো বন্ধ করো। আর আপুকে বলো নুডলস বানাতে, আমি আসছি।

–বেশিদিন সময় নষ্ট করা যাবেনা,পরিস্থিতি ও ভালো না।এখন ডিজিটাল যুগ, একজন আরেক জনকে জানা-বোঝার জন্য কতো কিছুই না আছে। আচ্ছা, আমি পুষ্পর সাথে এ ব্যাপারে কথা বলবো। ওর অনুমতি ছাড়া ঐ ছেলেকে…মানে সুমন্তকে ফোন নাম্বার এখন দেওয়ার দরকার নেই।

সকাল থেকেই আজ গাড়িঘোড়ার আওয়াজ বেশি শোনা যাচ্ছে,রাস্তায় লোকজনের চলাচলও বেড়ে গেছে। কি করবে মানুষ, বাঁচতে হলে যে কাজে নামতে হবে। মৃত্যুভয়ে ঘরে বসে থাকলে পেট তো আর মানবে না।রাস্তায় নামলে আবার পুলিশের বাড়াবাড়ি, যখন তখন জরিমানা।মানুষ কোথায় যাবে!

ময়লার বিন্ দরজার বাইরে রাখতে এসেই কৃষ্ণার সাথে চোখাচোখি হলো। মুখে মাস্ক, হাতে গ্লাভস্ লাগিয়ে সিঁড়ি ঝাড়ু দিচ্ছে – আফা, ময়লার বাস্কেট রাইক্কুনা? একদিন ফর্ ফর্ আইলে ময়লা বেশি জমে। ঝাড়ুটা একপাশে রেখে কোমড়ে ডানহাতটা দিয়ে দাঁড়িয়ে — স্যার তো ঘরত ঢুইকতো ন দেয়, তুঁই এক মিনিট থিঁয়।

মুখের মাস্কের একপাশ খুলে, তোঁয়ার হনো হামে লাগিলি আঁর লাই বালা অইতো। কেনে চইল্লুম বুঝিত ন ফারির।

গতো মাসের শেষেও নিজ থেকে এটা সেটা করে দিল, যাতে কিছু বাড়তি টাকা পায়। কারণ স্বামী হাসপাতালে, ঔষধ কেনার টাকা নেই। ওর স্বামী ফিশারী ঘাটে সামান্য কাজ করে, কাজ নিয়মিত পায়না। ঘরে তিন সন্তান, আর শ্বাশুড়ি ও আছে।

“অউছ মাছর লেজর বাড়ি খাই, ইতার ঠ্যং ফুছিবার অবস্থা। এহন ইতে বালা অইএরে আঁরে মাইরতু আইয়ের।বেইন্না বাইর অইবার সমত হজ্জে..বেডা তোয়াইতু যদ্দেনা সাজিগুজি… ”

বারান্দায় রাখা ফুলের টব বের করে দিল নিশাত। জমিয়ে রাখা চা পাতা দিয়ে বললো গাছগুলো পরিষ্কার করে ঠিক করে রাখতে।শুকনো মুখে হাসির রেখা ফুটে উঠলো তার।

-তোয়ার ঘরত হাম্ গরি শান্তি ফাই। দোতলার হাঙ্কির ঝি হাঙ্কি আরেঁ দি হাম্ গরাইবু আবার কি হয় জানোনা?

তার মুখের দিকে তাকিয়ে আছে দেখে জিজ্ঞেস করলো, কি বলে? তার কথা এখন  না শুনলে কিছুক্ষণ পর আবার আসবে। নিশাতকে বললে তার হয়তো হালকা লাগে।

-কি বলে, দোতলার মহিলা?


“আঁই সিন্দুর দিলিও ইতির সমস্যা, আঁরে হয়দে, অ কৃষ্ণা,তুই মুছলমান অই যা। এহন্ বউত মানুষ মুছলমান অই যার, আল্লাহর গজবত্তুন বাঁছিবার লাই। টিভিত দেহার বলে,হাছা না? আঁই মরির আঁর জ্বালায়, আর ইতি আছে ইতির তালত।


আচ্ছা বাদ দাও ওসব কথা। মানুষের মুখ আছে, যা খুশি তা বলে। কেউ কারো মুখে হাত দিয়ে রাখতে পারে না। এই দেশে মুসলমানের সংখ্যা বাড়িয়ে উনি কি করতে চায় কে জানে! যারা আছে তাদের দিয়ে মনে হয় পোষাচ্ছে না–বলতে বলতে ভেতর থেকে ছেলের কণ্ঠ স্বর কানে এলো।

-মা,তোমার ফোন অনেকক্ষণ ধরে বাজছে। আমি এনে দিব তোমাকে? আপু তো শুনেও শুনছে না। এখন রাতদিন মোবাইল কানে দিয়ে বসে থাকে। এতো কী কথা, বুঝিনা বাপু!

কম্পিউটার ছেড়ে উঠে আসতে হলো বলে, বোনের নামে নালিশ করে গেল নিলয়। কৃষ্ণাকে কাজ বুঝিয়ে দিয়ে বেডরুমের দিকে যেতে যেতে  মেয়ের রুমের দরজার কাছে এক মুহুর্ত দাঁড়ালো। সে বুঝতে পারলো, শুধু পছন্দ নয়, সুমনতের জন্য এই কদিনে তার মনে একটা টান্ তৈরি হয়েছে। পুষ্পিতার চোখ, অন্যমনস্ক মন সেই ইঙ্গিত দিচ্ছে  বারবার। ড্রেসিংটেবিলের দীর্ঘ আয়নার সামনে দাঁড়ায় নিশাত। নিজেকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখে অনেকক্ষণ ধরে। তার চোখ কি অন্য ভাষায় কথা বলছে? হৃদয়ে যে সারাক্ষণ ঝরণার মতো ভালো লাগার একটা ধারা বয়ে চলেছে, আর কেউ কি সেটা দেখতে পায়? কেউ কি শুনতে পায় সেই জলের শব্দ? আর কেউ না জানুক, সে জানে অনেক দূরের দেশে একজন আছে, যে তাকে এখনো ভালোবাসে। তার জন্য গিটারে সুর তোলে, গান লিখে।বন্ধনহীন এক বন্ধনে পরস্পর জড়িয়ে আছে তারা এই দিন রাত্রির কাব্যে। ছকে কাটা জীবনের বাইরে পা রেখে এ যেন নতুন এক আবিষ্কার। কোভিড উনিশ এর দাপটে বন্দী কর্মহীন নিস্তরঙ্গ জীবনে এক ঝলক আলো এসে তাকে এলোমেলো করে দিল।

মোবাইল হাতে নিয়ে দেখে জামিলের পাঁচটা মিসড কল্।নিশ্চয়ই কোন দরকারি কথা বলতে চেয়েছিল। একবারের বেশি ফোন করে বিরক্ত বা সমস্যা সৃষ্টি করার মতো এতো অবুঝ তো সে নয়। আজ হঠাৎ কী এমন হলো! ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলো বারোটা বেজে গেছে। ফোন করতে চেয়েও করলো না। জামিলের এখন গভীর রাত। থাক, এতো অস্থিরতা ভালো নয়। এখন এসব মানায় না, সেই সময় পেরিয়ে এসেছে দুই যুগেরও আগে।-” তোমার সকালে কথা হবে” এইটুকু বার্তা লিখে পাঠিয়ে দিল।দুপুরের জন্য কিছুই এখনো রান্না করা হয়নি, সময়গুলো যেন ঘোড়ার মতো লাফিয়ে লাফিয়ে চলছে কিছুদিন ধরে।

কি হয়েছিল, হঠাৎ ক্ষেপলে কেন আজ?

-আমি আবার কখন ক্ষেপলাম!

-ঘুমানোর আগে পাঁচবার ফোন করতে হলো? কতোবার বলেছি, তুমি যখন ঘুমাতে যাও, তখন আমি নানা কাজে ব্যস্ত থাকি।

-হঠাৎ মনে হলো অনেকদিন দেশে যাই না গেলে একবার তোমার সাথে দেখা হতো-সেটাই বলতে চেয়েছিলাম।

– কেবল আমাকে দেখার জন্যই আসতে চাও,দেশে?

– আচ্ছা,তোমার মেয়ের বিয়েতে আসতে বলবে না আমাকে?

–হ্যাঁ, বলবো। কিন্তু আমি বললেই যে তুমি দৌঁড়ে আসতে পারবে, এমন ভাবার মতো বোকা আমি না।

–তুমি শুধু একবার বলো, দেখো আমি ঠিক চলে আসবো।

–আমার বিয়েতে কিন্তু দাওয়াত দিয়েছিলাম, মনে আছে?

–সে কথা ভুলি কি করে? সব মনে রেখেছি।

–নতুন কিছু করেছ এরমধ্যে?

–হ্যাঁ, কবিতা নিয়ে কাজ করলাম গত দুই দিন।

–বাহ্, এবার কবিতা! আবৃত্তি কি তুমিই করেছ?

–এখন কিছু বলবো না। কাজ শেষ হলে পাঠাবো। তোমার মন্তব্য শোনার জন্য আমি খুব এক্সাইটেড।

–আচ্ছা, অপেক্ষায় থাকবো। রাত হয়েছে, এখন থামতে হবে,ভোরে অনেক কাজ আছে।

পার্লারে যায়নি নিশাত, তবু বাসা থেকে বের হওয়ার আগে নিজেকে দেখে নিজেই মুগ্ধ হলো। আপা, দুলাভাই আর ভাইদের সামনে পুষ্পিতার বান্ধবীরা সবাই তার সাজসজ্জার প্রশংসা করলো একটু আগে,ভীষণ লজ্জা লেগেছিল তখন। কী এমন সেজেছে সে! বাড়তি কিছু দেওয়া বলতে কিছু মুক্তোর গয়না আর কানের পেছনের চুলে একটা গন্ধরাজ ফুল লাগিয়েছে। আজকাল মেয়েরা বড্ডো বাচাল, মুখে যা আসে তাই বলে ফেলে!

তাদের পক্ষের যে কয়জনকে দাওয়াত করেছে সবাই মোটামুটি এসেছে। ছেলে পক্ষের কেউ এখনো এসে পৌঁছায়নি। কমিউনিটি সেন্টারের বদলে এই গেস্ট হাউসে বিয়ের আয়োজন করাতে ভালোই হয়েছে। চারিদিকে খোলামেলা, আশেপাশে প্রচুর গাছ। সানাইয়ের সুর ভেসে বেড়াচ্ছে বাতাসে।

–আমাদের সবাই চলে এসেছে মনে হয়। তুমি কি আর কাউকে বলেছ? বারবার দরজার দিকে তাকাচ্ছো কেন?কথা আছে, চলো পাশের বারান্দায় যাই একটু — মিনহাজ সাহেব কথাগুলো বলে নিজেও হাসিমুখে  দরজার দিকে তাকিয়ে থাকলো। অন্যমনস্ক নিশাত মাথা ঘুড়িয়ে দেখে তার স্বামী কখন পাশে এসে দাঁড়িয়েছে, খেয়ালই করেনি।

বারান্দার দিকে যেতে যেতে বারবার স্বামীকে দেখছিল সে। মনে মনে একটু ঘাবড়েও গেলো। সবার সামনে থেকে এভাবে আলাদা করে কি বলতে চায়! ছেলেপক্ষের কোন সমস্যা হলো কি?

— কি হলো, বলো কি বলবে। আমার খুব টেনশন হচ্ছে।তাড়াতাড়ি বলো, লোকজন আমাকে খুঁজবে।

–তোমাকে কেমন অন্যরকম সুন্দর লাগছে আজ।কিছুদিন ধরেই দেখছি আমি, তুমি আর আগের মতো নেই। কিছুতেই আর রাগ করো না। একা হলেই গুনগন করো, আমি দূর থেকে শুনি। তুমি মনে হয় প্রেমে পড়েছ, নিশাত। প্রেমে পড়লেই এমনটা হয়, আমারও হয়েছিল।

ভাইব্রেশনের গোঙ্গানি বন্ধ করতে বালিশের পাশে হাতড়াতে হাতড়াতে শেষ পর্যন্ত মাথা তুলে বসলো।মিনহাজ পাশে নেই, সানাইও বাজছে না। ফুল স্পিডে ফ্যান ঘুরছে শোঁ শোঁ করে। পর্দার ফাঁক গলে আসা হালকা আলোয় মেয়ের মুখটা দেখে ভীষণ কান্না এলো।ভালোবাসার সাথে কান্নার একটা নিবিড় যোগাযোগ আছে। ধ্বনি দিলে যেমন প্রতিধ্বনি হয়, ভালোবাসলে কাঁদতে হয়।


সাবিনা পারভীন লীন: কবি ও গল্পকার।

১টি মন্তব্য

  1. এক নিশ্বাসে গল্পটি গল্পটি পড়তে গিয়ে
    নিজকে যেন হারিয়ে গুলিয়ে ফেলি এর মাঝে।
    বেঁচে থাকুক ভালোবাসা
    অশ্রু যোগে পায় পূর্ণতা

মন্তব্য করুন

এখানে মন্তব্য লিখুন
এখানে আপনার নাম লিখুন