মতামত


মে দিবস: শিকাগো থেকে গন্ডামারা।। পাহাড়ী ভট্টাচার্য।।পুবাকাশ


“চিমনির মুখে শোনো সাইরেন-শঙ্খ
গান গায় হাতুড়ি ও কাস্তে
তিল তিল মরণেও জীবন অসংখ্য,
জীবনকে চায় ভালবাসতে।”
-সুভাষ মুখোপাধ্যায়।


কবি বলছেন মে দিন আদপেই “ফুল খেলবার দিন” নয়। মে-দিন মানব ইতিহাস ও সভ্যতার এক অমোঘ দিন। এ দিন আগুনের, ষ্ফুলিঙ্গের, দ্রোহের,ভালবাসার, প্রেরণার। মে দিবস একদিনে ঘটে যাওয়া কোন আকষ্মিক ঘটনাও নয়, বরং দশকের পর দশক ধরে শ্রমজীবী মানুষের মনে জমতে থাকা শোষণ, নিপীড়ন এবং বৈষম্যের বিপরীতে ক্ষোভ ও বিদ্রোহের এক মিথস্ক্রিয়ার ষ্ফুরণ, বিষ্ফোরণ ।

সাম্য-মৈত্রী-স্বাধীনতার বার্তাবহ মহান ফরাসী বিপ্লবের হাত ধরে, উনিশ শতকের শিল্প বিপ্লব পরবর্ত্তীতে কৃষি-শ্রমিকদের পেশা পরিবর্তন ও শহুরে কারখানা শ্রমিকে রূপান্তর, নব্য মালিকানা ও সমাজ-ব্যবস্হার অধীনস্থ হওয়া, নারী আন্দোলনের পথ বেয়ে শ্রমিকের মানবিক মর্যাদার স্বীকৃতির লড়াই-এর ধারায় এসেছে মে দিবস।

১৮৮৬-র পর পেরিয়েছে ১৩৫ বছর। শিকাগো থেকে এ গন্ডামারা পর্যন্ত শ্রমিকের রক্তঝরা আজো শেষ হয়নি। বলিভিয়া কিংবা আফ্রিকার খনি শ্রমিক, সাও পলোর মৎস্যজীবী, পেরুর কৃষক, কম্বোডিয়ার ভাগচাষি বা বাংলাদেশের দিনমজুর সকলের জন্য সকল দেশে দেশে সমভাবে নিশ্চিত করা যায়নি জীবন ধারনের উপযুক্ত মজুরী, নির্দ্ধিষ্ট কর্মঘন্টা, শোভন কাজ ও জীবন, মানবিক মর্যাদা-যা ছিল সুমহান মে দিবসের আকাঙ্থা-পৃথিবীর সব শ্রমজীবী মানুষের জন্য। তাই, এখনও সন্দেহাতীতভাবে মে-দিন প্রাসঙ্গিক, গুরুত্ববহ। বাংলাদেশ এবং পরিবর্তিত বিশ্ব-প্রেক্ষিতেও তাৎপর্য হারায়নি দিনটি।

ঐক্যবদ্ধ শ্রমিক আন্দোলনের বিপুল শক্তির এক সফল প্রতীক মহান মে দিবস। মে দিবস একই সাথে শ্রমজীবী জনগনের ঐক্য, সংহতি, সংগ্রাম ও বিজয়েরও প্রতীক। শ্রমজীবী মানুষের জন্য প্রাত্যাহিক কর্মঘন্টাকে সহনীয়, শোভন ও গ্রহনযোগ্য পর্যায়ে নামিয়ে আনার, শ্রমিকও মানুষ-এ স্বীকৃতি আদায়ের যে লড়াই, তার সাথে জড়িয়ে আছে মে দিবসের ইতিবৃত্ত। আজকের আমেরিকাতেই এ দিবসটির সূচনা। মজুরী বৃদ্ধির দাবীতে মে আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটে মূলত ১৮০৬ সালে যখন ফিলাডেলফিয়ার শ্রমিকেরা প্রথম ধর্মঘটে রাস্তায় নামে। শ্রমিকদের উদ্দেশ্য ছিল ঐ সময় চালু দৈনিক প্রায় ২০ ঘন্টা কর্মঘন্টাকে যত সম্ভব কমিয়ে আনা যায়। ১৮২০ থেকে ১৮৪০ সময়কাল পর্যন্ত বেশ কটি শ্রমিক ধর্মঘট হয়। ১৮২৭ সালে দৈনিক ১০ ঘন্টাকে কর্মঘন্টা করার ও স্বীকৃতি আদায়ের দাবীতে মোটর-মেকানিকদের উদ্যোগে গড়ে ওঠে বিশ্বের প্রথম ট্রেড ইউনিয়ন সংগঠন, আমেরিকার ফিলাডেলফিয়ায়। ১৮৬৪ সালে শ্রমজীবী মানুষের প্রথম এক আন্তর্জাতিক সংগঠন ফার্ষ্ট ইন্টারন্যাশনাল গঠিত হয়, এর সদর দপ্তর ছিল লন্ডনে। ১৮৬৬-তে আমেরিকার বাল্টিমোর রাজ্যের ৬০টি ট্রেড ইউনিয়ন নিয়ে গড়ে ওঠে বিশ্বের প্রথম শ্রমিক ফেডারেশন-ন্যাশনাল ইউনিয়ন অব লেবার। সংগঠনটি দৈনিক ৮ ঘন্টা কাজের দাবীতে প্রস্তাব গ্রহণ করে। এবং, এ দাবীতেই ১৮৮৪ সালে আমেরিকা জুড়ে শ্রমজীবীদের আন্দোলন গড়ে ওঠে। এর ধারাবাহিকতায় ১৮৮৬ সালে আমেরিকান ফেডারেশন অব লেবার একই ইস্যুতে ১ মে শিকাগো শহরে শ্রমিক ধর্মঘটের ডাক দেয়। শিকাগোতে অনুষ্ঠিত হয় এক বিশাল শ্রমিক সমাবেশ। সব শ্রমিকেরা কাজ বন্ধ করে রাস্তায় নামে। ৩ মে ম্যাককরমিক হার্ভেষ্ট মেশিন কোম্পানীর ধর্মঘটী শ্রমিকদের ওপর পুলিশ গুলি চালায়। মারা যায় ৪ জন শ্রমিক। ৪ মে হে মার্কেটে ডাকা প্রতিবাদ সমাবেশে বোমাবর্ষনে মারা যায় ১ পুলিশ কর্তা।পরে মারা যায় আরো ৪ শ্রমিক ও ৭ পুলিশ সদস্য। এতে প্রবল উত্তেজিত পুলিশ নির্বিচারে হে মার্কেটে সমবেত শ্রমিক-জনতার ওপর গুলি চালালে অসংখ্য হতাহতের ঘটনা ঘটে। গ্রেফতার হয়ে ফাঁসিকাষ্ঠে প্রান দেন অনেক শ্রমিক নেতা। সফল হয় শ্রমিকশ্রেণীর রক্তাক্ত সংগ্রামটি। আমেরিকান ফেডারেশন অব লেবার ১ মে তারিখটিকে ৮ ঘন্টা কাজের দাবীর পুনরুজ্জীবন দিবস- হিসেবে বেছে নেয়। লন্ডন থেকে ফার্ষ্ট ইন্টারন্যাশনেল-এর সদর দপ্তর নিউইয়র্কে স্থান্তরিত হয় সেকেন্ড ইন্টারন্যাশনেল-এ নামে। প্যারিসে অনুষ্ঠিত হয় সংগঠনটির ১ম কংগ্রেস। এ কংগ্রেসেই ১ মে- বিশ্বব্যাপী শ্রমজীবী মানুষের বিশেষ দিনের স্বীকৃতি প্রদান করে পালনের ঘোষনা আসে । মে দিবস আন্দোলনের কয়েকজন শ্রমিকনেতা যাঁরা নেতৃত্ব দিয়ে গ্রেফতার হন, মৃত্যুবরণ করেন তাঁদের মধ্যে অগাষ্ট স্পাইস, এডলফ ফিশার, স্যামুয়েল ফিয়েল্ড, আলবার্ট পারসনস, মাইকেল শ্যোব, জর্জ এন্জেল,লুইস লিংগের নাম সবিশেষ স্মর্তব্য।


মে দিবসের অনুপ্রেরণায় ভারতীয় উপমহাদেশে ১৯২০ সালে রেল, চা বাগান ও স্টিমার শ্রমিকদের আন্দোলন গড়ে ওঠে। মাদ্রাজে ১৯২৩ সালে ও কলকাতায় ১৯২৭ সালে প্রথম মে দিবস পালিত হয়। নারায়ণগঞ্জে ১৯৩৮ সালে প্রথম দিবসটি পালিত হয়। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সাল থেকে সরকার দিবসটিতে ছুটি ঘোষণা করে।


করোনা-বহ এ সময়ে, বাংলাদেশসহ ইউরোপ ও পশ্চিমা বিশ্বজুড়ে লক-ডাউন ও স্বেচ্ছা গৃহ-বন্দিত্বের কালে ভিন্ন বাস্তবতায় আজ মহান মে দিবস পালিত হচ্ছে। অনেকটা আড়ম্বরহীন, প্রতীকি ধরণে । আশঙ্কা, দীর্ঘ করোনাকাল বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা, খাদ্য সংকট, চাকুরী-চ্যুতি, বেকারত্ব, অর্থাভাবসহ নেতিবাচক বাস্তবতার মুখোমুখি করবে সাধারণ মানুষদের। বাড়বে প্রযুক্তি-নির্ভরতা এবং অটোমেশন, সে সাথে শারিরীক দুরত্ব বজায় রেখে কাজ ও জীবনযাপন! স্বভাবতই শ্রম-প্রক্রিয়ায় অভাবনীয় সব পরিবর্তন ঘটতে দেখবে বিশ্ববাসী। এসবের জন্য কতটুকু তৈরী আমাদের রাষ্ট্র, শ্রম-ব্যবস্হাপনা, শ্রম অবকাঠামো, শ্রমজীবী জনগন এবং ট্রেড ইউনিয়ন? মে দিবসের এই লগ্নে তা ভাবতে হবে তাও।

বাংলাদেশে প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে এখন কর্মজীবী প্রায় সাড়ে ৬ কোটি। অপ্রাতিষ্ঠানিক শ্রমজীবী মানুষ মূলত দৈনিক, সাপ্তাহিক,পাক্ষিক ও মৌখিক চুক্তি-ভিত্তিক শ্রম/সেবার বিপরীতে অর্জিত আয়-নির্ভর। এসব মানুষদের কাজের সুযোগ ও আয়ের ওপরই বেঁচে আছে তাদের পরিবার। রাষ্ট্র বিপুল সংখ্যক শ্রমজীবী মানুষকে সামাজিক সুরক্ষা বেষ্টনী ও নিরাপত্তার আওতায় আনতে পারেনি, অদ্যাবধি । কৃষি-খাতের বাইরে দেশে শিল্প-কল-কারখানায় এবং অ-প্রাতিষ্ঠানিক সেক্টরে কর্মরত বিপুল শ্রমজীবী মানুষ প্রতিনিয়ত নানাবিধ আশঙ্কা ও ঝুঁকিতে বসবাস করছে। অপর্যাপ্ত ও জীবন ধারনের অনুপযুক্ত মজুরি, একদিকে কর্মহীনতার ভয়, অন্যদিকে গার্মেন্টস, নির্মাণ, হোটেল-রেস্টুরেন্ট, হেলথ-ডায়াগনিস্টিক, গণ-পরিবহন, নৌ-যান, জাহাজ-ভাঙ্গা, ট্যানারি, রি-রোলিং, এ্যলুমিনিয়াম, মোটর ওয়ার্কশপ, মেটাল-রিসাইক্লিং, চাতাল, ক্ষুদ্র-পুঁজির পণ্য বিক্রেতা, হকার, প্রিন্টিং প্রেস, বুক-বাইন্ডিংসহ সিংহভাগ শিল্পখাতে অতিরিক্ত কর্মঘন্টা, বাড়তি কাজের চাপ, সরাসরি মালিক-নিয়োগকর্তার বা মধ্যস্বত্বভোগিদের অমানবিক ও অন্যায় আচরণ, বিবিধ বৈষম্য, শারিরীক এবং মানসিক নিগ্রহ, পেশাগত স্বাস্হ্য ও নিরাপত্তাহীনতা, দুর্ঘটনা ঝুঁকি-এসবই আজ অসহায় শ্রমজীবী মানুষের জীবনচিত্রের অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং অমোঘ নিয়তি। দেশে শ্রম আইনের প্রয়োগহীনতা, শ্রম-বিচার ব্যবস্হায় দীর্ঘসূত্রিতা, মালিক ও লুঠেরা পুঁজি বা কর্পোরেট পুঁজির প্রতাপ, ট্রেড ইউনিয়ন সংগঠনগুলোর নানামাত্রিক সীমাবদ্ধতা সর্বোপরি শ্রমজীবী জনগোষ্ঠীর অসচেতনতা তো আছেই।

দেশের প্রচলিত সংবিধান, শ্রম আইন ও বিধি, জাতীয়-আন্তর্জাতিক কনভেনশন, ঘোষণা, উচ্চ আদালত প্রদত্ত বিবিধ নির্দেশনা ও বিদ্যমান নীতিমালাসমুহকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নিয়োগপত্র-পরিচয়পত্র-সার্ভিস-বুক-রেকর্ডস ও তথ্য-উপাত্তহীনভাবে শ্রমিককে মৌখিকভাবে নিয়োগদান ও যে কোন সময় চাকুরীচ্যুত করছে আমাদের প্রতিষ্ঠান মালিক-কন্ট্রাকটর-নিয়োগকর্তারা। করোনা-বহ, মানবিক চরম বিপর্যয়ের এ কালেও, এসব অব্যহত আছে।


বিশ্বব্যাপী এক নিশ্চিতপ্রায় বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার পদধ্বনিতে আজ কর্মহীনতা, বেকারত্ব, আর্থ-সামাজিক সংকটের মুখে দাড়িয়ে প্রাচ্য ও প্রতীচ্য। বাংলাদেশের শ্রমজীবী জনগনও এর বাইরে নয়। প্রাগুক্ত-রা ছাড়াও হকার, মুচি, রিক্সাওয়ালা, ধোপা, নাপিত, পরিবহনে যুক্ত শ্রমিক, গৃহকর্মী, দিনমজুরদের এ করোনাকালের প্রভাব বইতে হচ্ছে সু-তীব্রভাবে। শ্রম-নির্ভর ও নিন্ম আয়ের প্রান্তিক মানুষ ভিন্ন বাস্তবতার মুখোমুখি, মানবেতর দিন কাটাচ্ছে। আয়হীনতায় ও কাজের অনিশ্চয়তায় সকলে দিশেহারা। দেশের ৮০ শতাংশ তৈরী পোষাক কারখানায় লে-অফ ঘোষনা, শ্রমিক ছাঁটাই শুরু হয়ে গেছে। রাষ্ট্রায়ত্ব পাটকল শ্রমিকদের মজুরী বকেয়া বিগত ১ বছর-কাল। করোনার কারণে দিনমজুর, নির্মাণ শ্রমিকেরা কাজ নিতে পারছে না। হোটেল-রেষ্টুরেন্ট,দোকান-প্রতিষ্ঠান কর্মচারি বেকার। পরিবহন শ্রমিকেরাও বসে আছে অনিশ্চয়তায়। সে সাথে যুক্ত হচ্ছে অভিবাসী শ্রমিকদের অনিশ্চয়তা ও দেশে ফেরার শ্রোতও।


অসহায় কর্মজীবী মানুষ বিশেষত শ্রমিকেরা বাড়ি মালিক, মুদি দোকানদার সহ স্ব স্ব কর্ম-এলাকার সামর্থ্যবান ও পরিচিতজনদের দয়া-দাক্ষিণ্যের ওপর এবং অনেকটা সরকারী অথবা ব্যক্তিগত ত্রাণ বা সহায়তার ওপর ভরসা করে দিনাতিপাত করছেন। ঢাকা-চট্টগ্রাম সহ বেশ কিছু স্হানে গার্মেন্টস শ্রমিকেরা বকেয়া মজুরীর দাবীতে অ-ঘোষিত লক-ডাউনকে উপেক্ষা করে মহাসড়ক অবরোধ করেছে, লুঠ হয়েছে ত্রাণবাহি ট্রাক। করোনাকালে ভয়াবহ পারিবারিক সহিংসতার নানা চিত্র উঠে আসছে গণমাধ্যমে। এসবের সিংহভাগের নেপথ্য- কার্যকারণ-অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা। শ্রমজীবী মানুষের জীবন ও পেশার নিশ্চয়তা রক্ষাটি আজ বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাড়িয়েছে।

অবৈধ লে-অফ ও শ্রমিকের চাকুরিচ্যুতি ঠেকানো, কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন দপ্তরের এসকল বিষয়ে ত্বরিৎ পদক্ষেপ, অন্যায়-সিদ্ধান্ত গ্রহনে ও আচরণে লিপ্ত প্রতিষ্ঠান মালিক-পক্ষের বিরূদ্ধে সরকারের দৃঢ়, জিরো- টলারেন্স, শ্রমিক কল্যাণ তহবিলের অর্থ শ্রমিকের এহেন দুর্দশায় কাজে লাগানো, প্রাতিষ্ঠানিক ৫ শতাংশ লভ্যাংশ যার অংশীদার শ্রম আইন মোতাবেক ঐ প্রতিষ্ঠান শ্রমিক তার সর্বোত্তম ব্যবহারটি নিশ্চিতকরণও আজ আবশ্যক। দেশের ধনী ও শিল্প-প্রতিষ্ঠান মালিকদেরকে কর্পোরেট স্যোশাল রেসপন্সিবিলিটি তথা সিএসআর- কর্মকান্ডের আওতায় শ্রমজীবী মানুষের পাশে সর্বোত সহায়তার হাত বাড়াতে উদ্ধুদ্ধকরণও আজ জরুরী। মে দিবসের দিনে আজ ভাবতে হবে সবাইকে তা।

৩০/০৪/২০২১


পাহাড়ী ভট্টাচার্য : কবি ও চিন্তক: শ্রমিক সমস্যা নিয়ে তৎপর। 

মন্তব্য করুন

এখানে মন্তব্য লিখুন
এখানে আপনার নাম লিখুন