সম্প্রতি প্রয়াত ফিলিস্তিনি কবি
মাওরিদ বারঘুতির দু’টি কবিতা

মুজিব রাহমান অনূদিত ।। পুবাকাশ

১. নীরবতা

“নীরবতা বললো:
সত্যের বাকপটু হওয়া লাগে না
ঘোড়সওয়ারের মৃত্যুর পর
ঘরমুখো ঘোড়া
কোন কিছু না বলে
বলে দেয় সব কথা।”

২. ভাষ্য

কফিহাউসে বসে লিখছেন কবি
বৃদ্ধা ভাবছে
সে লিখছে তার মাকে
যুবতী ভাবছে
সে লিখছে তার প্রেমিকাকে
শিশুটি ভাবছে
ছবি আঁকছে সে
ব্যবসায়ী ভাবছে
কোনো চুক্তি নিয়ে মগ্ন সে
পর্যটক ভাবছে
লিখছে সে পোস্টকার্ড
কর্মচারী ভাবছে
ধারদেনার করছে সে হিসেব
গুপ্ত পুলিশ
ধীর পায়ে, এগুচ্ছে তার দিকে

মাওরিদ বারঘুতি:
রাষ্ট্র হিসেবে ইসরাইল প্রতিষ্ঠা পাবার বছর চার আগে ১৯৪৪ সালে মাওরিদ বারঘুতির জন্ম রামাল্লাহর নিকটবর্তী এক গ্রামে। মুক্তিকামী এই কবির উদ্বাস্তু জীবনের অস্তিত্বের সংগ্রামের বেদনামথিত আলেখ্য ফুটে ওঠেছে তাঁর আত্মজৈবনিক গ্রন্থ I Saw Ramallah-তে। বারঘুতির জীবনের সিংহভাগ সময় কেটেছে নির্বাসনে। বারোটি কাব্যগ্রন্থে ছড়িয়ে আছে তাঁর অস্তিত্ববাদী সংগ্রাম আর সৃজনশীলতার সকল রক্তজবা! ৭৬ বছর বয়সে ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১সালে মহাপ্রস্থানের ভেতর দিয়ে এই মহাপ্রাণ কবির জীবনযুদ্ধের অবসান ঘটেছে।

মুজিব রাহমান : সহযোগী অধ্যাপক,  ইংরেজি বিভাগ, চট্টগ্রাম কলেজ।

মন্তব্য করুন

এখানে মন্তব্য লিখুন
এখানে আপনার নাম লিখুন