‘শুভ্র সমুজ্জ্বল’ আমাদের মোহাম্মদ আলী স্যার
মোহীত উল আলম
আলী স্যারকে নিয়ে ভাবছি। তিনি গত ২৪ জুন বৃহষ্পতিবার ৮৮ বছর বয়সে মারা গেলেন। আমি এ মাসের প্রথম দিকে আমাদের বিভাগের পিয়ন জহীরকে দিয়ে তাঁর বাসায় আমার সদ্য প্রকাশিত দু’টো বই, যথাক্রমে “কবি নজরুল: বিদ্রোহীর এই রক্ত” ও “বঙ্গবন্ধু: বাংলাদেশ” উপহারস্বরূপ তাঁর কাছে পাঠাই। জহীরকে দিয়ে পাঠানোর উদ্দেশ্য ছিল, জহীরের বাবা মো: হারুণুর রশীদকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের পিয়ন হিসেবে আলী স্যার চাকরি দিয়েছিলেন। আবার আলী স্যার চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য থাকার সময় হারুণের আরেক ছেলেকে (জহীরের বড় ভাই) সেখানে বাসচালক হিসেবে চাকরি দেন।
স্যার বই পেয়ে খুশী হবার সংবাদ জহীর আমাকে দিল, সাথে সাথে বলল, স্যার আরো খুশী হয়েছেন দেখে যে জহীরের চাকরি প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে হয়েছে। চাকরির কথাটা বললাম, গরীব মানুষ দেখে নিম্নবরগের লোকদের চাকরি দিয়ে তাদের জীবনের মুশকিল আসান করা আলী স্যারের প্রশাসনিক কাঠামোর অন্যতম রীতি ছিল।
স্যার ছাত্র হিসেবে চমৎকার সাফল্য দেখিয়েছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে প্রথম শ্রেণি প্রথম অনার্সে আর এম এ তে প্রথম শ্রেণি দ্বিতীয় হয়ে অক্সেফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স নিয়ে দেশে ফিরেন। চবির ইংরেজি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি।
স্যার চমৎকার পড়াতেন। চেয়ারে বসেই পড়াতেন। কণ্ঠস্বর ছিল একেবারে পরিষ্কার, ঝরঝরে। আর ইংরেজি বলতেন ছোট ছোট বাক্যে পরিষ্কার উচ্চারণে। তাঁর ইংরেজি সাহিত্যে ব্যাপক দখল ছিল, এবং পড়াতেন টেক্সটের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে ব্যাকগ্রাউন্ডসহকারে। এখনকার শিক্ষণপদ্ধতিতে যেটাকে contextual studies বলে, বা আরো সাম্প্রতিক ধারণায় যেটাকে নিউ-হিস্টোরিসিজম কিংবা নব্যইতিহাসবাদ বলে সে রীতিতে পড়াতেন। স্যার পড়াতে পড়াতে মাঝে মাঝে থেমে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিতেন। আরা সোৎসাহে প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে চেষ্টা করতাম। এম এ তে তিনি দু’টো পেপার পড়াতেন। ঔল্ড এ্যান্ড মিডল ইংলিশ লিটরেচার, আর মরডান লিটরেচার। চসার খুব ভালো পড়াতেন। প্রলোগ টু ক্যান্টারবেরি টেইলস আর নানস প্রিস্টস টেইল এত যত্ন দিয়ে পড়াতেন যে মিডল ইংলিশ লিটরেচারে কীভাবে ক্রমশ পশ্চিমা ধারার ব্যক্তিত্ববাদের দুয়ার খুলে যাচ্ছিলো সেটা বোঝাতে গিয়ে একদিন বললেন, চসারে তোমরা দেখবে ‘উই’ (আমরা) করে আত্মসম্বোধন আছে, কিন্তু প্রায় দু’শ বছর পরে শেক্সপিয়ারের লেখায় দেখবে ‘আই’ বা আমির সমারোহ। অর্থাৎ মধ্যযুগের অবসান সময় থেকে প্রারম্ভিক আধুনিক ইউরোপের যাত্রা শুরু হয়, ইংলান্ডও বাদ থাকেনি। ব্যক্তিবাদ বুরজোয়া ভাবধারায় গড়ে উঠতে থাকে। ইয়েটস আর টি এস এলিয়ট পড়ানোর সময় স্যার বোঝাতেন ইয়েটসের আইরিশ লোকজ সংস্কৃতির সঙ্গে এলিয়টের বিশ্বযুদ্ধোন্মুখ সংস্কৃতির বিরুদ্ধে কাব্যিক পদচারণার মধ্যে মিল কোথায়। আলী স্যারের ক্লাস লেকচারের নোটই ছিল যথেষ্ট। একবার ক্লাসে ঢুকলেন এক আমেরিকান অধ্যাপক সহ। ভদ্রমহিলা খুব চমৎকার একটা বক্তৃতা দিলেন। তখন আমার মনে হলো, ঔপনিবেশিক লাইনে তাঁর বক্তৃতা যেহেতু ছিল, প্রশ্নোত্তর পর্বে আমি একটু দক্ষিণ এশিয়ার প্রেক্ষাপট থেকে উত্তর ঔপনিবেশিকতাবাদ ঘেঁষা কিছু প্রশ্ন করি। করলামও। অন্যরাও অনেক প্রশ্ন করল। অধ্যাপক মহোদয়া আমাদের প্রশ্নগুলোর উত্তরও দিলেন, কিন্তু সবচেয়ে বেশি প্রীত হচ্ছিলেন, বুঝতে পারছিলাম, আলী স্যার। মাঝে মাঝে আমাদের প্রশ্ন একটু বেকায়দা ইংরেজিতে চলে গেলে স্যার সেগুলি সস্নেহে সোজা করে মহিলাকে বলছিলেন।
স্যার অত্যন্ত সুদরশন এবং কান্তিমান চেহারার ছিলেন। গায়ের রং ছিল উজ্জ্বল। তাঁর ছিল অসামান্য ব্যক্তিত্ব। দীর্ঘকায় মানুষটি ছিলেন যেন রবীন্দ্রনাথের কথিত “শুভ্র সমুজ্জ্বল।” চুল নিপাট আঁচড়ানো, গাল মসৃণ কামানো। বস্তুত স্যারকে কর্মক্ষেত্রে বা বাসায় কখনো গাল আ-কামানো অবস্থায় দেখিনি। স্যারের বাম গালে একটি বড় আঁচিল আছে, সেটি স্যারের সুদশর্নাকে আরো বৃদ্ধি করেছিলো। চোখ একটু আয়ত এবং খানিকটা পাতা ভারী ছিল। কপাল ছিল সামান্য চওড়ার দিকে। সুন্দর স্বাস্থ্য চিরজীবন বহন করে গেছেন। কখনো টামি বা ভুঁড়ি বের হতে দেখিনি। সাদা ফুল শার্ট গায়ে, এবং কালো ট্রাউজারের মধ্যে সেটা ইন করে পরতেন। কালো এক জোড়া চকচকে পাম্পসু কিংবা শু পরতেন। কখনো স্যান্ডেল পরেছেন বলে আমার মনে পড়ে না। শীতকালে স্যারকে আরো রাজকীয় লাগতো। কালো স্যুট, আর টাই ঝুলতো সাদাশার্টের সঙ্গে কিংবা ক্রিম শার্রটের কলার থেকে না ছোট না বড় একটা নট থেকে। আমরা স্যারের ছাত্ররা যা কখনো রপ্ত করতে পারিনি, তাঁর পান্ডিত্য আর লেখাপড়া ছাড়াও, সেটা হলো তাঁর এই অভিজাত উপস্থিতি। বস্তুত বলতে বাধা নেই, পুরো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে স্যারের মতো দেখতে-শুনতে, চলাফেরায় আভিজাত্যে আর কোন শিক্ষককে দেখতাম না।
স্যার ক্লাসিকাল ধরনের লোক ছিলেন। তাই ভিতরে ভিতরে নিজের পরিশুদ্ধ আবেগ নিয়ে কাতর থাকলেও খুব কাছাকাছি না গেলে স্যারের এই আবেগের কথা টের পাওয়া যেত না। মনে হতো যেন তিনি প্রবল যুক্তিবাদী ধ্রুপদী ধরনের একজন মানুষ। কিন্তু আসলে ভিতরটা ছিল খুবই উষ্ণ। একটা কথা স্পষ্টভাবে বলা দরকার, স্যার কখনো নিজেকে এভারেজের দলে নামাতেন না। অনেকেই সেটাকে উন্নাসিকতা মনে করতেন। পরচরচা একেবারেই করতেন না। তাঁর খুব কাছের একজন মানুষ ছিলাম আমি, অত্যধিক স্নেহ করতেন আমাকে, মন উজাড় করে। কিন্তু কোন ব্যাপারে আলোচনার সময় একটু কি কোন একজন সম্পর্কে সমালোচনা করলাম বা বক্রোক্তি করলাম, স্যার সাথে সাথে তাঁর বিখ্যাত স্মিত হাসি দিয়ে প্রসঙ্গান্তরে চলে যেতেন।
ভরাট একটা গানের গলা ছিল তাঁর। একবার ইংরেজি বিভাগের একটি অনুষ্ঠানে একটি রবীন্দ্র সংগীত চমৎকার গেয়েছিলেন।
স্যারের হৃদয় ছিল স্নেহ ভালোবাসায় ভরা। আমি আমার খুব জনপ্রিয় বই “গল্পে গল্পে ইংরেজি শেখা” তাঁকে উৎসর্গ করি । ১৯৯৬ সালে। অনুমতি নিতে গেলে, খুব খুশী হয়ে কপট ঝাড়ি দিলেন, বললেন, এই জন্য কি অনুমতি নিতে হয়!
চাঁদগাঁওস্থ স্যারের বাসায় গেলে ভাবী (বাংলার অধ্যাপক ড. খালেদা হানুম ম্যাডাম) আর স্যার মিলে কত গল্পের ঝুলি যে খুলে বসতেন। আমাদের আলোচনায় কিছুই বাদ পড়তো না। একটা রুচিশীল আপ্যায়ন হতো। স্যারের দুই নাতনি তামারা আর সামিরা ছিল স্যারের চোখের মণি।
ঢাকায় আমার বড় ছেলের বিয়ের সময় বিডিআরের গন্ডগোলটা হয়। ২০০৯। খুব টেনশন ছিল বিয়ের দিন। চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছিলো গুজব যে যে কোন সময় মার্শাল ল জারী হতে পারে। কিন্তু স্যার আর ভাবী এলেন। আকদ পড়ানো দেখে স্যার খুব অভিভূত হলেন, বললেন যে, মোহীত, আজকালতো বিয়ের আসরে আকদ পড়াতে দেখি না।
স্যারের প্রতি আমরা সবচেয়ে বেশি অন্যায় করেছি যখন তিনি উপাচার্য ছিলেন। শিক্ষকদের একটি বিশাল অংশ দ্বারা তিনি রীতিমতো উপদ্রুত ছিলেন। অথচ স্যার এই ব্যর্থতার দায়ভাগ নিজের কাঁধে নিয়ে কারো বিরুদ্ধে কোন নালিশ না রেখে একসময় চবিই ছেড়ে দিলেন।
সে যে স্যারকে বই পাঠানোর কথা বলেছিলাম, তো তাঁর মৃত্যুর সাতদিন আগে তাঁর টেলিফোন পেলাম। বললেন, মোহীত, তুমি বই পাঠিয়ে তোমার প্রাচীন শিক্ষকদেরকে যে স্মরণ করেছো, সে জন্য ধন্যবাদ। বললাম, স্যার, আপনি কী প্রাচীন, ইউ আর এভার মডার্ন। তারপর অনেকক্ষণ কথা হলো, বললেন, তুমিতো ‘হ্যামলেট’ ইংরেজিতে সম্পাদনা করেছো সেটা দিয়েছো, কিন্তু ‘এ্যাজ ইউ লাইক ইট’ও করেছো, সেটাও দিও। আমি বললাম, আচ্ছা স্যার। আমি একসময় জিজ্ঞেস করলাম, স্যার, হাউ ঔল্ড আর য়্যু? বললেন, এ্ইটি এইট প্লাস। বললেন, মোহীত, আমি আশা করেছিলাম, তুমি আরেক টার্ম ভিসি থাকবে। আমি বললাম, স্যার, খুব জটিল ব্যাপারটা।
এখন স্যারকে নিয়ে আমার ব্যক্তিগত দু’টো অহংকারের কথা বলে শ্রদ্ধাঞ্জলি শেষ করব। কেউ প্লিজ ভাববেন না আমি অহমিকা করছি, কিন্তু স্যারের বদান্যতার আমি যে কত বড় উপকৃতজন তাই ব্যক্তিগতভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশের লক্ষ্যে পরের অনুচ্ছেদটি আসছে।
আমার ভুলও হতে পারে, কিন্তু মনে হয় স্যারের সরাসরি ইংরেজি বিভাগের ছাত্র ছিলাম এমন শিক্ষারথীর মধ্যে আমিই সম্ভবত একমাত্র ছাত্র যে কোন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগপ্রাপ্ত উপাচার্য হয়েছিল। আর দ্বিতীয়ত, স্যার, অনেকটা অবাক করে দিয়ে আমাকে চবির ইংরেজি বিভাগে প্রভাষক হিসেবে নিয়োগদানের জন্য ওপরে সুপারিশ করে সফল হয়েছিলেন। ব্যাপারটি ছিল এরকম। আমাদের রেজাল্ট বের হলে আমি চবিতে ইংরেজি বিভাগে জুনিয়র কিছু ছাত্রছাত্রীর সঙ্গে আড্ডা দিতে যাই। তখন ড. শিরীন হক চেয়্যারম্যান। আর আলী স্যার ভারপ্রাপ্ত ডিন। করিডোরে তখন ড. শিরীন হক ম্যাডামের রুমের সামনে যখন আড্ডা দিচ্ছিলাম, তখন ম্যাডাম আমার গলা শুনে রুম থেকে বের হয়ে আসেন। বললেন, মোহীত, তোমাকে কয়েকদিন ধরে খুঁজছিলাম। তোমার ভাইয়ের বাসায়ও টেলিফোন দিয়েছিলাম। কেউ ধরেনি। তোমাকে আলী স্যার খুঁজছেন। তখন রোজার দিন চলছিলো। আমি আলী স্যারের বড় কক্ষটিতে ঢুকলে দেখি হারুণ স্যারও (অধ্যাপক মুহাম্মদ হারুণুর রশীদ, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালকও হয়েছিলেন।) বসা। আলী স্যার প্রথমে রেজাল্ট জিজ্ঞেস করলেন। আমি বললাম, স্যার, সেবেন্ড ক্লাশ ফার্স্ট। কেউ ফার্সট ক্লাশ পায়নি। কথাবার্তা ইংরেজিতেই হচ্ছিলো। আলী স্যার জিজ্ঞেস করলেন, আর ই্য়ু ইন্টারেস্টেড ইন টিচিং? আমি বললাম, অবশ্যই স্যার। পরক্ষণে তাঁর সে বিখ্যাত স্মিত হাসি দিয়ে বললেন, নো, নো নট ফর দ্য সেইক অব প্লিজিং আস, আর ইউ জেনুইনলি ইন্টারেস্টেড? হারুণ স্যার আর শিরীন ম্যাডাম জানালেন, ই এস পি (ইংলিশ ফর স্পেশাল পারপাজেস) নামক ব্রিটিশ কাউন্সিলের উদ্যোগে একটি নতুন প্রকল্প চালু হয়েছে যার অধীনে ইংরেজি বিভাগে দু’জন শিক্ষক জরুরী ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়া হবে। কথাবারতা হয়ে গেলে আলী স্যার বললেন, তুমি একটা দরখাস্ত রেখে যাও, আমরা দেখি।
আমি স্যারের রুম থেকে বের হতেই দেখি আমাদের স্টেনো আবু তাহের দাঁড়িয়ে আছেন (তিনি পরে মনে হয় লাইব্রেরিয়ান হয়েছিলেন।) তিনি বোধহয় ব্যাপারটি আঁচ করতে পেরেছিলেন, কিংবা হয়তো আগেই হয়তো বিষয়টি বিভাগে আলোচিত হয়েছিল। তিনি বললেন, আপনি এখানে একটু দাঁড়ান, আমি এখনই দরখাস্ত টাইপ করে নিয়ে আসছি। এত দ্রুত তিনি একটা দরখাস্ত শুদ্ধ ইংরেজিতে টাইপ করে নিয়ে আসলেন যে আমাকে শুধু আমার নামের নীচে সইটি করতে হলো।
বাসায় চলে এলাম। রোজার বন্ধ শেষ হবার আগেই দেখি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের নিকট থেকে অফিসিয়াল নিয়োগপত্র ডাকযোগে, দুই টাকার স্ট্যাম্পের হলুদ খামে, আমাদের কাজীর দেউড়ির বাসায় হাজির। এ্যাড হক নিয়োগ, আর নীচে লেখা আছে আমি যেন সম্ভব হলে খোলার দিনই যোগদান করি। আমি তখন বিছানায় শুয়েছিলাম। সাথে সাথে বিছানা থেকে নেমে মায়ের কাছে গিয়ে তাঁর পা ধরে সালাম করলাম।
বিশ্ববিদ্যালয় খোলার দিনটি ছিল ১১ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৮—যেদিন আমি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করি।
আলী স্যার আজকে নেই, কিন্তু আমাদের চোখের পানি শুকোচ্ছে না। “আমি চিরতরে দূরে চলে যাব, তবু আমারে দেব না ভুলিতে।”
২৮ জুন ২০২১
মোহীত উল আলম: খ্যাতিমান শিক্ষাবিদ ও সব্যসাচী লেখক। প্রাক্তন উপাচার্য, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়।