তিনটি কবিতা।। সৈয়দ খালেদুল আনোয়ার।। পুবাকাশ
কবি
জলের মুকুরে
হাসে কাব্যের ছবি
অণুতে অণুতে
বিভাজিত হয় কবি।
বিভাজিত কবি
জলীয় রোমান্টিক
শানিত চোখের
ক্যামেরায় পড়ে ক্লিক।
কাব্যকলার
সুসভ্য ঠিকানাতে
কবির ভ্রমণ
কল্পনার উল্কাতে।
নষ্ট প্রেমের
পথহারা সরোবরে
কবির হৃদয়
বর্ণালী হয়ে ঝরে।
মানুষের সংজ্ঞা
মানুষের সংজ্ঞা নিয়ে ইদানিং আমি
বড়ই বিভ্রান্ত
প্রাগৈতিহাসিক এক শিক্ষক
মানুষের প্রণিধানযোগ্য
কোন সংজ্ঞা দিতে না পারলেও
আমাকে জানালেন
মানুষের দুটি বৈশিষ্ট্য…
মানুষেরা এক হাতে করে
ফুলের চাষ
অন্য হাতে ছিন্নভিন্ন করে
ফুলের শরীর।
মানুষের সঠিক সংজ্ঞা
জানার জন্যে
পুনরায় যেতে হয় সৃষ্টিকর্তার কাছে।
কিশোরী জাগবে
প্রেমের বাগানে লোনাজল ঢেলে
কিশোরীর প্রেম কাঁদে
কৃষ্ণশীলারা মধ্যরাতে
পুড়ে ছাই হলো চাঁদে।
বাহুবন্ধনে উষ্ণ আবেগে
হৃদয়ের জল জাগে
ময়ূরপঙ্খী ডুবলো সে-জলে
কিশোরীর অনুরাগে।
তীর ছুড়ে ছুড়ে হৃদয় ক্লান্ত
তীর নাই আর তূণে
কিশোরী জাগবে নব উত্থানে
জীবনের ফাল্গুনে।
সৈয়দ খালেদুল আনোয়ার : খ্যাতিমান ছাড়া শিল্পী ও লেখক।