অনূদিত কবিতা।। আলমগীর মুহাম্মদ।। পুবাকাশ


এক. পর্বতে আরোহনের চেষ্টা

এলান হোয়াইটহর্ণ


(দশ বছর ধরে চলে আসা নাগর্নো- কারবাখ দ্বন্দ্ব নিয়ে রচিত বইয়ের তালিকা অনুসন্ধান চালাতে গিয়ে আমেরিকান-কানাডীয় কবি ও রাজনীতি বিজ্ঞানের ইমেরিটাস অধ্যাপক এলান হোয়াইটহর্ণ সম্প্রতি একটি কবিতা লিখেন । কারাবাখ নিয়ে লেখা বই ও একটি কবিতা শিরোনামে তিনি গত ১৩ই অক্টোবর ২০২০ একটি নিবন্ধ লিখেন।)


 

ভয়ানক সামরিক দ্বন্দ্ব অবারিত হচ্ছে
অসমতল ককেসাস পর্বতগুলোতে।
বিভিন্ন নৃ-তাত্বিক জনগণের রক্ত
বয়ে যাচ্ছে অঝোর ধারায়,
মিশে যাচ্ছে অশান্ত, উত্তল নদীতে।
অনেক মানুষ চেয়ে আছে নেতৃত্ব ও দিশার আশায়।
আমাদের ডাইনিং কক্ষের একটি বুকশেলফ ভর্তি কারবাখ নিয়ে লেখা বই।
এটা পর্বতসম।

মাঝেমাঝে নিজেকে আবারো পুরোপুরি শিক্ষানবিশ পিএইচডি ছাত্র মনে হয়।
পর্বতের উপর একটা ভ্রমাত্মক পথের দিশা খুঁজছি আমি।
আমার খুব ইচ্ছে একটা ভালো গাইড বই পাবার
অথবা এমন কেউ যেত পথ চেনাবে।
অতএব আমরা পৃষ্ঠা উল্টাই এবং প্রথম ধাপে এগোই।


দুই. খোজালি

তুর্খান সালতাস


(খোজালিকে উৎসর্গ করে ২০১৫ সালের ৩ এপ্রিলে আনকারার অধিবাসী তুর্কী নাগরিক তুর্খান সালতাস, আজারবাইজানী রাষ্ট্রপতির কাছে একটা চিঠি ও কবিতা লিখেন।)


 

আপনি একজন প্রিয় বন্ধু এবং মহান তুর্কী জনগণের অন্তরে নাড়া দিচ্ছেন। আমাদের অন্তরে আপনার নাম লেখা হয়ে আছে। আপনার ঘরে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হোক এবং আপনি সর্বপ্রকার দুঃশ্চিন্তা থেকে মুক্তি লাভ করুন। আপনার দীর্ঘায়ু কামনা করছি। খোদা আপনার মঙ্গল করুক। আমরা বিশ্বাস করি অদূর ভবিষ্যতে কারাবাখ বিভেদের অবসান হবে যা শুধু আজারবাইজানী জনগণ না পুরো তুর্কীস্থানের জন্য অস্বস্তিকর। এ ব্যাপারে আমরা সবসময় আপনার পাশে থাকব।
জনাব রাষ্ট্রপতি! আপনার জন্য সকল বন্ধ দরোজা খুলে যাক।
তুর্কী এই নাগরিক তাঁর চিঠির সাথে একটি কবিতাও লিখে পাঠান:


খোজালি


তুমি সেই দুঃখ, যা আমার আত্মাকে পুড়িয়েছিল,
তুমি আমার আত্মার আগুন ও বেদনা,
আমার পোড়া ও জ্বলন্ত,
আহত শহর, আমার খোজালি!
তোমাকে না ছেড়ে না গিয়ে,
ভালো হতো যদি আমার মৃত্যু হতো
আমি কি করব, বলো? আমার কিছুই করার নেই।
বলো আমাকে, আমি যে ফুলগুলো তোমার জন্য এনেছিলাম,
কোথায় রাখব আমি, খোজালি?!
আমার সকল চিন্তা তোমাকে ঘিরে ,
দুঃখে কাঁদছি।
আমি বুড়ো হয়ে গেছি, খোজালি!


আলমগীর মোহাম্মদ: শিক্ষক ও অনুবাদক।

মন্তব্য করুন

এখানে মন্তব্য লিখুন
এখানে আপনার নাম লিখুন