কবিতা
একগুচ্ছ কবিতা।। শিশির আজাদ চৌধুরী।। পুবাকাশ
দারু
প্রেমের দারু হলো না জানা-
হয় নি জানা নারীর মন,
কোন প্রদেশে হাঁটছে কানা
সে নারী কোথায় সঙ্গোপন?
পাবো কি তারে রাত্রি আলোয়
পারবো কি তার মন্ত্র প্রেম?
দয়িতা
হয় তো তোমাকে কিছুই দেয়া হবে না;
কিছুই না, একেবারে কিচ্ছু না।
কেবল একটি অবগাহনের শব্দে উভয়ে কি পাবো টের
কতদূর এগুলাম নদীর ঢেউয়ে,
কতবার নাকে এসে লাগে কাদার আঁষ্টে গন্ধ?
তখনো যদি কিছু চাও, কিছুই দেয়ার থাকবে না আমার।
হয় তো যে শরীর ঢেকে আছে কাদার প্রলেপে
তা আমি মুছে দিতে পারি, মুছে দিতে পারি
ক্ষুধার্তের চেটে খাওয়া প্লেটের মতোই।
আরও যদি চাও, অভিলাষ ভরা একটি রাত দেব
আমার সকাল দেব, আমার বিকেল দেব
তোমাকে দিতে পারি আমার প্রতিটি মুহূর্ত;
অবিরল ঝর্ণার মতো দিতে পারি তুমুল প্রেম।
এ ছাড়া আমার কি কিছুই দেয়ার থাকে?
না কিছুই না, একেবারে কিছুই থাকে না।
অবনি
‘অবনি’, পৃথিবীর বয়স কত?
শুনি বা না-ই শুনি, ঘড়ঘড় করে
কোনো একটা সংখ্যা সে বলেই দিলো।
আমিও বেহিসাবে বলে দিলাম,
আমাদের প্রেমের বয়স পৃথিবীর দ্বিগুণ।
একটু পরেই
একটু পরেই মেঘ গড়ালে,
এক নিমিষেই বৈরী হাওয়ায়
আকাশ ব্যাপি বাজনা হবে।
একটু পরেই বৃষ্টি হলে;
হাতের ওপর হাতটা রেখে
বাদাম তলায় ভিজবো দুজন।
হয় তো ভেজা শালিক জোড়া
পাতার ফাঁকে মুখ লুকিয়ে।
আনার বাড়ির কোন রাখালি
বাছুর ডেকে ক্ষান্ত হলো।
যদি তুমুল আকাশ ফাটে
আমার বুকেই আস্থা যেন।
তখন, তোমার গালের জলসিড়ি
আমার নাভির তলদেশে।
একটু পরেই চুলের গন্ধ
নাকের ডগায় বইছে যেন।
একটু পরেই কবি হবো,
কবি হয়ে পুরুষ হবো।
তারপর…..?
তারপরে তো অনেক কিছুই,
অনেক- অনেক- অনেক কিছু।
শিশির আজাদ চৌধুরী: তরুণ কবি। শিক্ষার্থী- রাঙামাটি সরকারী কলেজ।