গল্প
সম্পর্ক।। সাবিনা পারভীন লীনা।।পুবাকাশ
এক নি:শ্বাসে সুপ্তি কথাগুলো বলে গেলো শান্ত সমুদ্রের দিকে তাকিয়ে। সূর্যের কমলা রঙের ছটা তার চোখে মুখে ছড়ানো। ঝাউয়ের পাতা দুলে দুলে যেন তার কথাগুলোকে ছড়িয়ে দিল চারপাশে।
অফিস থেকে ফিরে শার্ট প্যান্ট বিছানায় ফেলতে গিয়েও ফেললোনা, দরজার পেছন থেকে হ্যাঙ্গার নিয়ে ঝুলিয়ে রাখলো।খালি গায়ে ঠান্ডা লাগছিল,ঘাড় ঘুরিয়ে দেখে এসি চলছে।তাড়াতাড়ি বন্ধ করে রিমোট বিছানায় ছুঁড়ে মারলো। সকালে বের হওয়ার সময় বন্ধ করতে মনে ছিলনা।ঘুম থেকে উঠেই চা বানানো,গোসল সেরে নাস্তা রেডি করে খাওয়া,কাপ প্লেট ধুয়ে রাখা- এতো কাজের পর এইসব ছোটখাটো বিষয় কি আর মনে থাকে! বাথরুমে ঢুকতেই মনোয়ারের চোখ যায় ময়লা বেসিনেীর দিকে।ব্রাশ দিয়ে কোনমতে ঘষে পরিষ্কার করে মুখ হাত ধুয়ে বের হয়ে আসে।রাত আটটায় চিকেন কাটলেট খেয়েছিল মাজহারের সাথে,তেমন খিদে নেই।তবু ডাইনিংয়ে গিয়ে ফ্রিজ খুলে দেখে,একটা আপেল আর তিন টুকরো পাউরুটি ছাড়া কিছুই নেই।একগ্লাস পানি খেয়ে বিছানায় আধশোয়া হয়ে মোবাইলটা হাতে নেয়।ম্যাসেঞ্জারে কিছুক্ষণ চ্যাট করে আবার ফেসবুকে ঢুকে।গত এক সপ্তাহে একবারও ফেসবুক খুলেনি সে।কয়েকজন বন্ধুর পোস্টে কমেন্ট করে, স্ক্রিন টেনে টেনে দেখতে থাকে।হঠাৎ চোখে পড়ে বন্ধু জহির আর তার স্ত্রী মুন্নি ভাবীর ছবি, সাগরের জলরাশিতে কোমর জড়িয়ে দাঁড়িয়ে আছে। রাত বেশি হয়নি, এগারোটা বাজছে মাত্র।বন্ধুর এমন রোমান্টিক ছবি দেখে ফোন না করে থাকতে পারলোনা মনোয়ার।
–কেমন চলছে, কখন গেলি কক্সবাজার,দোস্ত? আমাদের একবার বললেই হতো…
— শালা,এক ঘুষিতে নাক ফাটায়ে দিব তোর। গতমাস থেকেই বলছি, চল চল। কতো কাজের অজুহাত দেখাইলি তখন। তোর সময় নাই, ভাবীর অফিসের কাজের চাপ।এখন কেন বলছিস এসব!
–হা হা হা। আরে, মজা করলাম তোর সাথে একটু। আমরা আসলেই যেতে পারতাম না। যাক্, আনন্দ কর তোরা। পরে কথা হবে।
মোবাইল চার্জে দিয়ে সিগারেট ধরালো একটা। এদিক সেদিক তাকিয়ে এস্ট্রেটা কোথাও চোখে পড়লো না।এরমধ্যে মেঝেতে ছাই ফেললো একবার। এসব ময়লা ঝাড়ু কে দিবে –এটা মাথায় আসার সাথে সাথে বাথরুমে ঢুকলো। ভাবছে এতোটা বেরহম কি করে হলো সুপ্তি, কাজের বুয়াটাকেও বিদায় করে দিল যাওয়ার সময়! ঠিকমতো কাজ করেনা বলে কতোবার অভিযোগ করেছিল সে, তখন কিন্তু বিদায় করেনি। পরপর দুটো সিগারেট শেষ করে সিদ্ধান্ত নিল এখনই ফোন করে এর একটা বিহিত করবে।
রিং বেজে যাচ্ছে একবার দুবার, তৃতীয় বার ফোন করার পর রিসিভ করলো
— কি ব্যাপার এতো রাতে ফোন করেছ কেন, ‘ম’ আর ‘ব’ দিয়ে গালি দেওয়ার জন্য কাউকে খুঁজে পাচ্ছোনা? বারবার বলেছি আমাকে ফোন না করতে, তবু এই সাতদিনে তিনবার ফোন করেছ।
—এতো রেগে যাচ্ছো কেন, প্রয়োজনে ফোন করেছি।কাজের বুয়ার নাম্বারটা যদি দিতে উপকার হতো।
— আমি কেন নাম্বার দিতে যাবো, আশ্চর্য তো ! গত দশ বছরে নাকি কোন সেবা করতে পারিনি তোমার, এখনতো প্রশ্নই উঠেনা। রাখছি, আর বিরক্ত করবেনা।
–হ্যালো, হ্যালো, সুপ্তি। ধ্যাৎ… মোবাইলটা বিছানায় ছুঁড়ে মারলো।
লাঞ্চের জন্য বাইরে যেতে দেখে আজ খলিল সাহেব বলেই বসলো– “ভাইজান কয়েকদিন ধইরা ভাতটাত আনেন না, ভাবী কি বাপের বাড়ি গেছেনি? মনটাও মনে হয় পেরেশানিতে আছে, সিগারেট বেশি খাইতাছেন।”
হো হো করে হেসে ব্যাপারটা তখন উড়িয়ে দিলেও এখন ভাবনাটা জেঁকে বসেছে। প্রশ্নতো করবে সবাই, বন্ধু, প্রতিবেশী, আত্মীয়স্বজন সবাই করবে। দাঁত দিয়ে নখ কাটতে কাটতে কখন ডান হাতের কনিষ্ঠ আঙুলে রক্ত চলে এসেছে, খেয়াল ও করেনি।
পাশের ফ্ল্যাট থেকে পুরুষ কণ্ঠের গমগমে আওয়াজের সাথে দরজায় লাথি মারার শব্দে চিন্তায় ছেদ পড়লো।একটা বাচ্চা মেয়ের কান্না ভেসে আসছে রাতের নির্জনতা ভেঙে দিয়ে। হ্যাঁ, মেয়েটা নওরিনই হবে,সাজ্জাদ সাহেবের মেয়ে। সিঁড়িতে, গেইটের মুখে প্রায়ই দেখা হয় তার সাথে।অন্য বাচ্চাদের মতো চটপটে না,কেমন মনমরা হয়ে থাকে। চোখাচোখি হলেই “আঙ্কেল, আসসালামু আলাইকুম” বলে মাথা নিচু করে রাখে। ভাগ্যিস তাদের কোন সন্তান হয়নি!
দেওয়ালে টাঙানো ছবিটার দিকে চোখ যায় হঠাৎ, তাজমহলের সামনে দাঁড়িয়ে আছে তারা। হাসিখুশি ছবির দিকে তাকিয়েই মোবাইলটা হাতে নেয় আবার। ফটো গ্যালারি খুলে ছবি দেখতে দেখতে ইন্ডিয়ায় তোলা কয়েকটা ছবি পোস্ট করে দেয় ফেসবুকে। এক মিনিটের মধ্যেই দশটা লাইক আর তিনটা কমেন্ট পড়তে দেখে এতোক্ষনের বিরক্তি ভাবটা কেটে যায় আস্তে আস্তে। লম্বা করে হাই তুলে বালিশ সোজা করে শুয়ে যায় এবার।পোস্টটা আবার দেখেই বলে উঠে,” ওয়াও ! ফাইন তো,ফা..ইন, চলু…ক।”
অফিস থেকে বের হতে হতে ছয়টা বেজে যায়। কিছু কেনাকাটা করা দরকার। সুপ্তির এখন ঘরে ফেরার তাড়া নেই। হাঁটতে হাঁটতে জামালখান চলে আসে। সড়কবাতির আলো, আইল্যান্ডের গাছে গাছে নানা রঙের টুনি লাইটের আলো আর এ্যাকুরিয়ামের আলোয় পুরো এলাকা জুড়ে যেন উৎসব। রাস্তার দুপাশে নানা বয়সী মানুষের ভীড়,বসার জন্য একটা জায়গাও খালি নেই।দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে আড্ডা,চা সিগারেট পান,অট্টহাসি -সবই চলছে।ইচ্ছে করছে এই জটলা, ভীড়ের একজন হতে।কিন্তু কার সাথে গল্প করবে,বিয়ের পর থেকে আস্তে আস্তে তার চিরচেনা জগৎ যে ছোট হয়ে গেছে! স্বামী, সংসার আর চাকরির পেছনে সময় দিতে দিতে আজ বন্ধুহীন সে। এসব ভাবতে ভাবতে বাতিঘরের সামনে এসে একটা রিক্সা দাঁড় করাতেই — ভাবী, এসময় এখানে! রাস্তার ওপার থেকে দেখে ভাবলাম,দুজনে মিলে হাওয়া খাচ্ছেন।
এতো দারুণ দারুণ সব ছবি পোস্ট করে মনোয়ার ভাই,দেখলেই ঈর্ষা হয়। কমেন্টের বন্যা বয়ে যায়,হা হা হা।
হাসিটা মাঝপথে থামিয়ে পারভেজ সাহেব গম্ভীর হওয়ার চেষ্টা করলে সুপ্তি মুখ খুলে — অফিস থেকে ফিরে কোন কাজ নেই,বসে বসে আর কি করবে। যতো কাজ আমার,ঘর অফিস দুটোতেই। ফেসবুকিং করার টাইম কোথায়, ভাই? একটা কাজে এসেছিলাম, এখন ফিরছি।আপনারা ভালো আছেনতো সবাই?
“জ্বি জ্বি, ভালোই। ভাইকে নিয়ে একদিন আসেন সময় করে,আসসালামু আলাইকুম” –ছোট্ট হাসিটি ধরে রেখেই রাস্তা পার হয়ে গেলেন।
এতোক্ষন ভীড়ের একজন হতে চেয়েছিল, আর এখন মনে হচ্ছে তাড়াতাড়ি রিক্সা পেলেই বাঁচে।’কমেন্টের বন্যা’ শব্দটা মনে পড়ায় নিজের মনে হাসে আর বলে “কতো তামাশা যে জানে মানুষ!”
বাসার সামনে পৌঁছাতে সাড়ে সাতটা বেজে গেলো। রিক্সা ভাড়া দিতে দিতে খেয়াল করলো গেইটের দারোয়ানের সাথে কথা বলছে তার ছোট ভাই ইমরান। বোন কোথায়, কোন পরিবেশে আছে দেখতে এসেছে একমাস পর।তার বাসায় না থেকে আলাদা কেন থাকছে, এ নিয়ে অনেক মন কষাকষি চলেছে এতোদিন। বাবাতো রাগ করে ফোন পর্যন্ত করে না। অফিসের নাজনীন ও এখানে থাকে।বিয়ের আট বছর পর ডিভোর্স হয়েছে, সন্তান হচ্ছে না বলে। আর আছে অপর্ণা দিদি, তিনজন মিলে বেশ ভালোই আছে তারা।
— কি রে,তুই কতোক্ষন এখানে? কিছু কেনাকাটা ছিল, নয়তো ছয়টার মধ্যে চলে আসি। চল,ভেতরে চল।
— না না,ঠিক আছে। বাবা বারবার জানতে চাইছে,তুমি কি অবস্থায় আছো। তাই হঠাৎ চলে এসেছি অফিস থেকে।
চলতো আগে…হাত ধরে নিয়ে গেল তার নতুন সংসারে।
নাজনীন দরজা খুলেই চায়ের পানি বসাতে চলে গেলো, সুপ্তিও ভাইকে বসিয়ে হাতের জিনিষপত্র রাখতে ভেতরে চলে গেলো।
এক সেট্ বেতের সোফা, টেবিল আর একটা ছোট বুক শেলফ্। ড্রয়িংরুমে বসেই বোঝা যাচ্ছে ভেতরে আরো দুটো রুম। মনে মনে ভাবলো, আপা আমাদের সাথে না থেকে ভালোই করেছে। নিজের প্রাইভেসি থাকতোনা আর আত্মীয় স্বজনের হাজারো প্রশ্নের জবাব দিতে হতো। শুধু শুধু এতোদিন রাগ দেখানোটা একদম ঠিক হয়নি।আজকে বাবাকে বুঝাতে হবে আরো।
পরোটা আর চা খেতে খেতে গল্প চলছে ভাইবোনের।এদিক ওদিক তাকিয়ে ইমরান কণ্ঠস্বরটা একটু নিচে নামায় “ফোন করে বিরক্ত করে এখনো? ফেসবুকে দুদিন পরপর তোমাদের ছবি পোস্ট করে,পাগল নাকি লোকটা ! ”
— সমস্যা তো আছে মাথায়, হা হা হা। ফোন করা কমেছে আগের চেয়ে। বলা যায়না কিছুই,আবারো শুরু করতে পারে।বাদ্ দেয় এসব। আমার জন্য এতো ভাবিস না।বাবার খেয়াল রাখিস,আমিতো আছিই।
………………………………………………..
রাতের খাবার শেষ করে প্রায় দিনই বই পড়ে, বেশিরভাগ বই অপর্ণা দি’র। কতো কী পড়া বাকি রয়ে গেছে! এখন ভাবে আর আফসোস করে, অপচয় হয়ে যাওয়া সময়গুলোর জন্য। তবু ভালো এই অপচয় আরো দীর্ঘতর হয়নি ! বই আর মোবাইলটা হাতে নিয়ে ড্রয়িংরুমে ঢুকতেই মোবাইলে রিং পড়লো। স্ক্রীনে চোখ পড়তেই বুকটা ধ্বক্ করে উঠলো। ধরবে কি ধরবে না ভাবতে ভাবতে দরজাটা ঠেলে দিয়ে ধরলো। অপর প্রান্তের মতলব বোঝার জন্য নিজে চুপ করে শুনলো।
— হ্যালো হ্যালো, শুনতে পাচ্ছো? কেমন আছো,কথা বলো,প্লিজ। আজকাল তো বিরক্ত করিনা তোমাকে। বেশি সময় নিবোনা, বলছিলাম তোমার মোবাইলে…
— ঠিক আছে, ভণিতা না করে অল্প কথায় বলবে।
— বলছিলাম, তোমার মোবাইলে কি কাপ্তাইয়ে তোলা ছবিগুলো আছে? একটু যদি পাঠাতে,ভালো হতো।
— আমার কাছে কোন ছবি নেই।
পুরানো ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে করে মনোয়ার যা করছে, তাতো সে জানে।
অপর প্রান্তের নীরবতা দেখে সুপ্তি বললো, রাখছি আমি।
— না না,ফোন রেখোনা। বিয়ের আগেও আমাদের মধ্যে স্বাভাবিক একটা সম্পর্ক ছিল। সেটা ভেবে অন্তত একটু কথা বলো,তোমার চোখে অতোটা খারাপ হয়তো তখন ছিলাম না। তেমন হলে তো বিয়েটা…
— এসব আমারও জানা, আর কিছু বলবে?
—- হ্যাঁ, বলছি। আগামী সপ্তাহে কাছে কোথাও ঘুরে আসি, একসাথে একবেলা খাই,গল্প করি। প্লিজ।
—তোমার মতলবটা কি, খোলাসা করে বলোতো!
— মতলবের কি আছে,নতুন করে কিছু হওয়ার নেই।আমার কাছে গ্যালারীতে যতো ছবি ছিল,তা এই ক’মাসে পোস্ট করেছি ফেসবুকে। তুমি অবশ্য দেখার কথা না, আমিতো বহু আগে থেকেই তোমার ব্লক লিস্টে। আসলে আমি যা করেছি, মানুষের প্রশ্ন থেকে বাঁচার জন্যই করেছি। দুদিন আগে খেয়াল করলাম নতুন কোন ছবি নেই। তাই ভাবছিলাম, যদি…
— হা হা হা,এটা কোন সমাধান হলো? লোকের কথায় কান দেওয়ার কি আছে, বি প্র্যাক্টিকেল।
— প্লিজ, না করো না। আর আবদার করবো না।
— ঠিক আছে, দেখছি কি করা যায়।
ড্রাইভারকে ছুটি দিয়ে মনোয়ার নিজে ড্রাইভ করছে আজ। পাশের সিটে সুপ্তি বসেছে কিন্তু মুখটা বাইরের দিকে ঘুরানো। সাগরিকা রোডের দিকে গাড়ি এগিয়ে চলেছে। মনোয়ারও চুপচাপ আছে, কিছুক্ষণ পরপর বামদিকে মুখ ঘুরিয়ে দেখছে।
নিজের উপর রাগ হচ্ছে সুপ্তির, স্কুলের বন্ধুদের গেট টুগেদারে না গিয়ে এখানে এসেছে বলে। মোটেও ঠিক হয়নি কাজটা। মানুষের মৃত্যু হলেও তাকে বাঁচিয়ে রাখা যায় কখনো স্মৃতিতে, কখনো চোখের জলে। কিন্তু সম্পর্কের মৃত্যু হলে সেটাকে সাথে নিয়ে চলা যায় না,পঁচা গন্ধে পরিবেশ ভারী হয়ে যায়।
গাড়িটা মেইন রোড থেকে সামান্য নিচে নামিয়ে রেখে সুপ্তির পেছন পেছন আসছে সে।
— তোমার সাথে আমার এখানে আসাটা অর্থহীন। ফোনে বলে দিলেও পারতাম। তোমার কথার সম্মান রক্ষার জন্যই এসেছি। এসেছি কয়েকটা কথা বলতে, ছবি তুলতে নয়।এইসব হাস্যকর কাজ বন্ধ করো দয়া করে।
সত্যকে সহজ ভাবে নিতে চেষ্টা করো। তোমার ভাবীকে বলো তোমার জন্য মেয়ে দেখতে। চাকরি বাকরি করেনা এমন কাউকে বিয়ে করো। তোমরা আসলে নারীর যেসব রূপ-গুণ দেখে মুগ্ধ হও, সেটাকে বাস্তব জীবনে এসে আর ধারণ করতে পারো না। তাই প্রতি পদে পদে সমস্যা হয়।লেখাপড়া কম জানা,গৃহকর্মে নিপুণা – এমন কাউকে বিয়ে করো। সুখে থাকবে।
এক নি:শ্বাসে সুপ্তি কথাগুলো বলে গেলো শান্ত সমুদ্রের দিকে তাকিয়ে। সূর্যের কমলা রঙের ছটা তার চোখে মুখে ছড়ানো। ঝাউয়ের পাতা দুলে দুলে যেন তার কথাগুলোকে ছড়িয়ে দিল চারপাশে।
সাবিনা পারভীন লীনা : কবি ও কথাশিল্পী।